পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ । ফুট নিম্নে গঙ্গার গর্ভ বহু বিস্তৃত। গঙ্গার খাদ-যেখান দিয়া জল যাইতেছে সেখানে নদীর বিস্তার বড় বেশী নহে। কিন্তু মন্দির-মূল হইতে অপর পারের উচ্চ শস্য ক্ষেত্রের সীমা পৰ্য্যন্ত অৰ্দ্ধমাইল বিস্তৃত হইবে। বর্ষায় এই সমস্ত স্থান জলে ভরিয়া যায়। মন্দির পার্শ্ব হইতে দীর্ঘ সোপান যুক্ত বৃহৎ ঘাট । আছে। ঘাটের নিকট হইতে নদীর খাদ বহুদূরে, কিন্তু ঘাটে জল খাইবার জন্য মাটি কাটিয়া গভীর করিয়া বর্ষার জল আটকাইয়া রাখা হয়। আয়তন অল্প বলিয়া সে জলে স্নান পান করা শুভদায়ক নহে। এই নিৰ্জন স্থানে এই মন্দির ও ঘাট অতি প্ৰাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন ও গঠন কৌশলে অতি । গভীর ভাবব্যঞ্জক। * . অতঃপর আমরা বাসায় ফিরিতে লাগিলাম। আমাদের বন্ধুটী বহুদিন । তীর্থবাস করিয়া পাণ্ডাগিরি সংক্ৰামতায় আকৃষ্ট হইয়া পড়িয়াছিলেন, কাজেই তিনি গাড়ীতে প্ৰয়াগের তীর্থ-মাহাত্ম্য বৰ্ণনা করিতে লাগিলেন। প্ৰয়াগের তীর্থ মাহাত্ম্য প্রায় সমুদয় পুরাণাদিতেই বিশেষরূপে লিখিত আছে। প্ৰয়াগ-তীর্থ সমূহের মধ্যে প্রধান বলিয়া খ্যাত। সাধারণের মুখে একটী প্ৰচলিত প্ৰবাদ শুনিতে পাওয়া যায় “প্রয়াগে মুড়াইয়া মাথা, মরগে পাপী যথা তথা।” যদি পাপী সর্বপ্রকার পাপ করিয়াও প্ৰয়াগে মস্তক মুণ্ডন করে তাহা হইলে তাহার সর্ব পাপাই বিনষ্ট হয়। মৎস্য পুরাণে প্ৰয়াগ সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে— তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই— “এতৎ প্ৰজাপতেঃ ক্ষেত্ৰং ত্ৰিষু লোকেষু বিশ্রতম। ন শক্যং কথিতং রাজন। ত্ৰিষু লোকেষু বিশ্রািতম৷” ( মৎস্য পু-১০২ অঃ) । এই পুণ্যতীর্থ প্ৰজাপতির ক্ষেত্র এবং ত্ৰিলোক বিখ্যাত-ইহার খ্যাতি । । ऊँीर्थ भांश्ांझा । ব্যক্তি প্রদীপ্ত স্ববর্ণ সদৃশ ও সূৰ্য্য তুল্য তেজস্ব বিমানে আরোহণ করিয়া টুম্বর্গে গমন করে। এখানে একটা পয়স্বিনী গাভী শ্রোত্ৰিয় ব্ৰাহ্মণকে দান