পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਤਬੂਕੇ আমরা বেলা প্ৰায় একটার সময় রুড়কীতে পহুছিলাম। সাহারণপুর হইতে ইহা ২২ মাইল দূরে অবস্থিত। বাসা ঠিক করিয়া আহারাদি । ও বিশ্রামের পর নগর দেখিতে বাহির হইলাম। পর্বতোপরি অবস্থিত ‘ সৈন্যাবাস, সিবিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মানমন্দির, বােটানিকেল গার্ডেন, ডিসপেন্সেরী ও স্কুল ইত্যাদি এখানকার দৃশ্যাবস্তু। সিবিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের জন্যই রুড়কীর বিশেষ প্ৰসিদ্ধি। ইহার নাম টমসন সিবিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ১৮৪৭ খ্ৰীঃ অঃ ইহা স্থাপিত হইয়াছে। রুড়কীর নিকটে গঙ্গার খাল সোনালী নদীর সহিত মিলিত হইয়াছে। বিজ্ঞানবলে জগতে যে কত অত্যাশ্চৰ্য্য ব্যাপার সম্পাদিত হইতেছে, রুড়কীর লৌহের কারখানা হইতে তাহা বিশেষরূপে উপলব্ধি করিতে পারা যায়। এখানকার লৌহ ও কাষ্ঠের কারখানা দেখিলে বিস্মিত না হইয়া থাকিতে পারা যায় না। দেখিলাম কোথাও কলের সাহায্যে লৌহ গলিতেছে, কোথাও গড়িতেছে, ছোচিতেছে, কাটিতেছে এবং কাষ্ঠের নানাবিধ ব্যবহাৰ্য্য দ্রব্যাদি প্রস্তুত হইতেছে। পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকগণের এ সমুদয় অত্যন্ধুত কল-কৌশল আমাদের নিকট কল্পনাতীত বলিয়া প্রতীয়মান হয়। হরিদ্বার হইতে খাল কাটিয়া গঙ্গার একাংশ হইতে একটা জলস্রোত বাহির করিয়া লইয়া অচিন্তনীয় ও প্রভৃতি বিস্ময়কর এক অদ্ভুত বিজ্ঞান-শক্তিতে প্ৰায় তিন মাইল ব্যাপী এক প্ৰকাণ্ড পুলের ভিতর দিয়া লইয়া আসিয়াছেন। নীচে গঙ্গার স্বাভাবিক মূল প্রবাহ বহিতেছে আর তাহারই গর্ভে থাম ও খিলানের উপর অবস্থিত পুলের মধ্য দিয়া শূন্যে কৃত্রিম খালের প্ৰবাহটী বহিয়া যাইতেছে, ইহা যে কতটা বিস্ময়কর তাহা না দেখিলে ভাষায় বর্ণনা করিয়া বুঝান যায় না। খালের লহর সেতুর উপর দিয়া উত্তর ও দক্ষিণে প্রবাহিত। বর্ষাকালে এস্থানের সৌন্দৰ্য অতুলনীয় হইয়া 0x2»