পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

히 1 মধ্যে রাম, সীতা, লক্ষমণ ও অন্যান্য ঋষিগণের মূৰ্ত্তি বিদ্যমান আছে। শিব-মন্দিরের দুই পার্শ্বে দুইটি কুণ্ড আছে, উহার একটা দিয়া শীতল এবং অপরটি দিয়া উষ্ণ জল প্ৰবাহিত হয় । মন্দিরের পশ্চিমভাগে একটা নিঝরিণী ঝর কাের রবে নিরন্তর ঝরিতেছে--বিরাম নাই—বিশ্রাম নাই । গয়ার ব্ৰহ্মযোনি পাহাড়ই সর্বোচ্চ, উহার শিখরদেশে ব্ৰহ্মযোনি, মাতৃযোনি গুহা আছে। পৌরাণিক উক্তি এইরূপ যে ঐ গুহা হইতে একবার বাহির হইয়া আসিতে পারিলে আর পুনরায় জন্মগ্রহণ করিতে হয় না। এই পাহাড়ের শিখরদেশেই সাবিত্ৰী, গায়িত্রী ও সরস্বতী ব্ৰহ্মশক্তির এই ত্ৰিবিধ মূৰ্ত্তি অবস্থিত। এই পাহাড়ে আরোহণ করিবার সোপানাবলী প্ৰাতঃস্মরণীয়া রাজ্ঞী অহল্যাবাইট নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন । ব্ৰহ্মযোনি পাহাড়ের আরও যে দুইটী পুণ্যস্থান আছে তাহার একস্থানে বসিয়া ব্ৰহ্মা গো-দান করিয়াছিলেন, অদ্যাপি সেস্থানে পর্বতগাত্রে অসংখ্য গো-পদ চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। অপর স্থানটিতে মধ্যম-পাণ্ডব ভীমসেন পিণ্ডদান করিয়াছিলেন, আদ্যাপি সেখানে তাহার জানুর চিহ্ন বিদ্যমান আছে । তিনি বামজানু পাতিয়া পিণ্ডদানকালে জানুর ভরে পর্বতে জানুর আকারে খাল হইয়া গিয়াছে, সেই খাল বৰ্ত্তমান । এই পাহাড়ের অনতিদূরে প্রসিদ্ধ অক্ষয় বট ও গৌরীদেবীর মন্দির রহিয়াছে, অক্ষয় বটমূলেই পিণ্ডদান করিয়া তীর্থগুরু গায়ার পাণ্ডার নিকট সুফল গ্ৰহণ করিতে হয় । যে যে স্থানে তীর্থগুরু পাণ্ডা। বর্তমান সেই সেই স্থানে ‘সুফল” লইবার ব্যবস্থা আছে। বাঙ্গালাদেশের তীর্থেও এ ব্যবস্থা আছে । কথাটা ‘সুফল’রূপে চলিয়া গিয়াছে - আসলে কিন্তু “সুফল' নহে-- ‘সফল”—তীৰ্থকৃত্য করিয়া তীর্থগুরুদিগকে সন্তুষ্ট করিয়া-—“তাৰ্থকৃত্য সফল হইল”। এইরূপ আশীৰ্বাদ লইতে হয়। প্ৰেত্যশিলা নামক পাহাড়েও পিণ্ডদান করিতে হয়। নচেৎ প্ৰেতহু দূরীভূত হয় না। এসকল ছাড়া সীতাকুণ্ড পাহাড়ে সীতাকুণ্ড নামক কুণ্ড, রামগয়া প্রভৃতি দেখিবার স্থান আছে। রামগয়াতে नाम जोडान भूऊिँ आएछ। भनिcद्भद्ध भक्षाश्एल একটী কুণ্ডে—একখানি স্বন্দর কষ্টিপাথরে হাত মণিবন্ধ পৰ্য্যন্ত জাগিয়া আছে—সেই একটা প্রস্তরময় লডভুক। ইহার ব্যাখ্যা এই-সীতাদেবীর প্রদত্ত পিণ্ড দশরথ (sهوO\