পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহার ভগ্ন খণ্ড সকল বিকীর্ণ হইয়া আছে। মন্দিরটি বৌদ্ধধৰ্ম্ম ধংসের পর হিন্দুরাজগণের উপেক্ষায় এবং মুসলমানের অত্যাচারে বহুকালাবধি কালের প্রভাব সহা করিতে করিতে একেবারে ধংসমুখে পতিত হইয়াছিল, খ্ৰীষ্টিয় একাদশ শতাব্দীর পূর্বেই প্ৰাচীন মন্দিরের অধিকাংশ ভাঙ্গিয়া যায়। একাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ব্ৰহ্মদেশের রাজা এই মন্দির নিৰ্ম্মাণের জন্য ধৰ্ম্মরাজ গুরু নামক এক ব্যক্তিকে পাঠাইয়া দেন। ১০৩৫ খ্ৰীঃ অঃ তিনি এই মন্দিরে এক বৃহৎ তাম নিৰ্ম্মিত স্বর্ণমণ্ডিত ছত্ৰ স্থাপন করেন । কিন্তু মন্দির নিৰ্ম্মাণের কাৰ্য্য তঁাহার দ্বারা বিশেষ অগ্রসর হয় নাই ।। ১০৭১ খ্ৰীঃ অঃ আর একজন ব্ৰহ্মদেশীয় কৰ্ম্মচারী সাতবৎসর পরিশ্রম করিয়া এই মন্দিরের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সমাপ্ত করেন। মুসলমানের বঙ্গবিজয়ের কিছু পূর্বে অশোকবািল্লদেব মন্দিরের জীৰ্ণ-সংস্কার করাইয়াছেন । তাহার পর ৬০ ০ বৎসর কাল মুসলমানের অত্যাচারে এখানকার অধিবাসী পৰ্য্যন্ত মন্দির ফেলিয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হয় । গ্রাম, নগর, দেবায়তন সকলি জঙ্গলে ভরিয়া যায়, মন্দিরও একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়ে । ১৮৭৬ খ্ৰীঃ অঃ ব্ৰহ্মরাজ এই মন্দির সংস্কারের জন্য তিনজন কৰ্ম্মচারী পাঠান। তাহারা সংস্কার কাৰ্য্যে সুবিধা করিতে না পারিয়া ইংরাজ রাজের শরণাপন্ন হ’ন, তখনকার ছোটলাট সার এসলি ইডেন, জে, ডি, বেগুলার নামক জনৈক অভিজ্ঞ কৰ্ম্মচারীকে সংস্কার কাৰ্য্যের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেন। তঁহার দ্বারাও কাৰ্য্যের বিশেষ সুবিধা হয় নষ্ট, অবশেষে প্রত্নতত্ত্ববিদ পণ্ডিত ডাক্তার রাজা রাজেন্দ্ৰলাল মিত্ৰ এই কাৰ্য্যের ভার লইয়া আসিয়াছিলেন । আজ আমরা যে মন্দিরের সম্মুখে দাড়াইয়া দুই হাজার বৎসরের প্রাচীন মহাকীৰ্ত্তি বৰ্ত্তমান দেখিতেছি তাহা উহাদের উভয়ের অধ্যাবসায় ও যত্ন এবং ব্ৰহ্মদেশবাসী । ধৰ্ম্ম প্ৰাণতা, ভক্তি এবং প্রচুর অর্থব্যয়ের ফলে । পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মতে ঐ মন্দির ৫৪৩ খৃষ্ট-পূর্ববাদে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সংস্কারের পর ইংরেজ রাজ যে খোদিত লিপি ইহার গাত্রে গাঁথিয়া দিয়াছেন, আমরা পাঠকদের কৌতুহল তৃপ্তির জন্য এস্থানে তাহা উদ্ধত করিয়া দিলাম। "This ancient temple of Mohabodhi erected on the WrS