পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহাই বোধিক্রমের মন্ত্র। যে যজ্ঞ বিধানের নিন্দার জন্য বুদ্ধদেবের অবতার সেই বুদ্ধদেবের তপস্যার স্থানে তাঁহাকেই স্মরণ করিয়া তাঁহাকেই যজ্ঞ পুরুষ এবং বসুরুদ্র নারায়ণরূপে ধ্যান করিয়া প্ৰণাম করিবার ব্যবস্থা করা হিন্দুর মহত্ত্ব, উদারতা এবং হিন্দু ধৰ্ম্মের সাৰ্বজনীনতার পরিচায়ক নহে কি ? p1 - বুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে বহির্গত হইয়া নিকটবৰ্ত্ত আর একটী উচ্চ পর্বতে এক মন্দির দেখিতে গেলাম । এই মন্দিরটার নাম বরাবর। বরাবর পর্বর্বতের উপরে এক শিব মন্দির দেখিলাম। দেবতার নাম সিদ্ধেশ্বর। শুনিলাম অসুররাজ বাণ এই লিঙ্গ প্ৰতিষ্ঠা করেন, এখানে শরৎকালে এক মেলা হয়, দশ বিশ হাজার পুরুষ যাত্রী সমবেত হইয়া একরাত্র পর্বতে বাস করে । মন্দিরটীি অতি প্ৰাচীন এবং সুদৃশ্য, পৰ্বত নিম্নে অশোকের সময় খোদিত কতকগুলি গুহামন্দির আছে এবং নিকটবৰ্ত্তী গ্রামে একটী পবিত্র নির্বারিণী ও কুণ্ড এবং তাঁতীরে প্রত্নতত্ত্বপূর্ণ বহু প্ৰস্তর শিল্পযুক্ত মন্দিরাদির ভগ্নাবশেষ আছে। সময়াভাবে আমরা সে সকল দেখিতে পারিলাম না। মহাবোধি মন্দিরের দক্ষিণ দিকে একটী ক্ষুদ্র পুষ্করিণী দেখিলাম, সেটির গঠন ভঙ্গিমায় প্ৰাচীন বলিয়াই বোধ হইল। বৰ্ত্তমান সময়ে মন্দিরের চারিদিকে বিক্ষিপ্তভাবে কতকগুলি প্ৰাচীন ধবংসাবশেষ দর্শন করিলাম । এগুলি কিছুদিন হইল প্রত্নতত্ত্ববিদগণের যত্ন ও উদ্যোগে খনিত হইয়া বাহির হইয়াছে । নৈরঞ্জনা নামী স্রোতস্বিনীর বাম তীরে বুদ্ধগয়া অবস্থিত। নৈরঞ্জনার পূর্বদিকে ধূসর পর্বত শ্রেণী মাথা তুলিয়া দাড়াইয়া আছে। মন্দিরের মোহান্তর বাড়ীতে কয়েকটি শিব মন্দির ও একটা দশভূজার মন্দির আছে। পূর্বদিকে "ধর্মশালা- তাহার কিঞ্চিৎ দক্ষিণে একটী সুন্দর অট্টালিকা, সেখানে ইউরোপীয় পরিদর্শকগণ সময় সময় আসিয়া বাস করেন । বুদ্ধ গয়ার মন্দিরটি দুই সহস্ৰ বৎসরেরও পুরাতন। চীন, জাপান ও ব্ৰহ্মদেশ প্রভৃতি দূর দেশ হইতেও এই তীৰ্থস্থানে যাত্রী সমাগম হইয়া। থাকে। এই মন্দিরের তিনটী সুন্দর ও সম্পূর্ণ খিলান দৃষ্টে বাবু রাজেন্দ্ৰলাল মিত্র হিন্দুর স্থাপত্য নিপুণতা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন :-“A remarkable Ge ೪೫