পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ “জনং তথৈব বেলায়াঃ দৃশ্যতে যত্রবৈ মহৎ । লবণস্তোদর্ধৌরাজং স্তরঙ্গৈঃ সমভিপ্লতঃ ॥ কুলালম্বী মহাবৃক্ষঃ স্থিতঃ স্থলজলেষুচ৷” ( নারদ পুঃ উঃ ৫৫/২২-২৩) তিনি স্বপ্নকথিত ভগবদ্বাক্যের সহিত প্ৰকৃত ঘটনার অত্যাশ্চৰ্য্য মিলন দেখিয়া ভক্তিতে গদগদ হইলেন, রাজা পূর্বে কখনও এইরূপ মহাবৃক্ষ অবলোকন করেন নাই। যখন তিনি বৃক্ষচ্ছেদন কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন সেই সময়ে বিষ্ণু ও বিশ্বকৰ্ম্মা সে স্থানে ব্ৰাহ্মণের রূপধারণ করতঃ আসিয়া উপনীত হইলেন । ব্ৰাহ্মণ বেশী বিষ্ণুবৃক্ষ ছেদন নিরত ইন্দ্ৰদ্যুম্নকে জিজ্ঞাসা করিলেন “মহাশয় আপনি কিসের জন্য সমুদ্র তীরস্থ এই বৃক্ষটিকে ছেদন করিতেছেন ? আপনার ইহা দ্বারা কি আবশ্যক ?” রাজা ইন্দ্ৰদু্যন্ত্র এই তেজঃপুঞ্জ ব্ৰহ্মণদায়ের অলৌকিক মাধুৰ্য্য দর্শনে ভক্তিপূর্ণ চিত্তে নম্রভাবে নমস্কার করিয়া কহিলেন “মহাশয় ভগবান বিষ্ণুর মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া পূজা করিবার বিশেষ ইচ্ছা হইয়াছে, সে নিমিস্তই আমি এই বৃক্ষ ছেদন কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি।” তদুত্তরে ব্ৰাহ্মণরূপী বিষ্ণু কহিলেন “মহারাজ, তোমার এই সাধু উদ্দেশ্যের কথা শুনিয়া সাতিশয় তৃপ্তিলাভ করিলাম, আমার সঙ্গীয় ব্রাহ্মণটি একজন বিশ্বকৰ্ম্মার সমকক্ষ উৎকৃষ্ট শিল্পী, তুমি ইচ্ছা করিলে ইহাদ্বারা তোমার অভিপ্ৰেত দেবমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করাইতে পাের।” ইন্দ্ৰদ্যুম্ন ব্ৰাহ্মণের এই কথায় বিশেষরূপ গ্ৰীত হইলেন ও স্বীয় ইচ্ছানুরূপ মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিবার জন্য ব্ৰাহ্মণরূপী বিশ্বকৰ্ম্মাকে অনুরোধ করিলেন। বিশ্বকৰ্ম্মাও রাজার অনুজ্ঞামত তিনটী মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিলেন। প্রথমটী শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধারী শান্ত ও কৃষ্ণমূৰ্ত্তি, দ্বিতীয়টি গৌরবর্ণ ও লাঙ্গলধারী অনন্তদেবের মূৰ্ত্তি এবং তৃতীয়টা বাসুদেবের ভগ্নী সুভদ্রার সুশোভন মূৰ্ত্তি । বিশ্বকৰ্ম্মার নিৰ্ম্মিত এই মূৰ্ত্তিালয়ের অনির্বচনীয় সৌন্দৰ্য্য ও শিল্পনৈপুণ্য দর্শনে মহারাজা ইন্দ্ৰত্যুম্বের হসন্দয়ে পবিত্রতম দেবভাবের উদয় হইল, তিনি ভক্তিভরে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত পূর্বক ব্ৰাহ্মণরূপী দেবীদ্বয়কে বাস্পাকুল কণ্ঠে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “আমাকে বঞ্চনা করিবেন না—দীন অধম বলিয়া পায়ে ঠেলিবেন না-বলুন আপনারা কে ? আপনারা কি দেব, 80V