পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী বা জগন্নাথ। দেব-মন্দিরেই দৃষ্ট হয়। মহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য যখন উৎকলে আসেন তখন | তিনিও এই শ্ৰীমন্দিরের শোভাদর্শনে আকুল হইয়াছিলেন, সেই প্রেমোন্মাদ মহাপুরুষের ভাবাবেশ তদীয় সাধক ভক্ত এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন,- “প্ৰভুর মন্দির হেরি কঁদে উভরায়। কখন আছাড় খেয়ে পড়য়ে ধরায় ৷ বেগে গিয়া ধূলাপায় প্রভুর দুয়ারে! অশ্রস্রোতে বিষ্ণুমূৰ্ত্তি দেখিতে না পারে । আছাড়ি বিছাড়ি চীৎকার বিলুণ্ঠন ৷ লক্ষ লোক আসে। ভাবি করিতে দৰ্শন” ৷ ( গোবিন্দ দাস ) মন্দিরের অগ্নিকোণে বন্দরীনারায়ণ ও তাহার অল্প পশ্চিমদিকে শ্ৰীশ্ৰী রাধাকৃষ্ণের মূৰ্ত্তি বিরাজিত। এই উভয় মন্দিরের মধ্যে পুরাণে পাক গৃহের দরোজা, ইহার পশ্চিমেই বটবৃক্ষ ও তাহার পশ্চিমে বটের মূলে অষ্টশক্তির অন্যতম মূৰ্ত্তি মঙ্গলাদেবী । এই অষ্টশক্তির সম্বন্ধে উৎকালখণ্ডে’ লিখিত আছে যে “মঙ্গলা বটমূলে তু পশ্চিমে বিমলা তথা । শঙ্খস্য পৃষ্ঠভাগে তু সংস্থিতা সর্বমঙ্গলা ॥ আৰ্দ্ধাশনী তথা লম্বা কুবেরাদিশি সংস্থিত । ] কালরাত্ৰিদক্ষিণস্যাং পূর্বস্যান্তু মরীচিকা৷ কালরাত্ৰ্যাস্তথা পশ্চাৎ চণ্ডরীপা ব্যবস্থিত । ত্রতাভিরুগ্ররূপাভিঃ শক্তিভিঃ পরিরক্ষিতম৷” অর্থাৎ বটের মূলদেশে মঙ্গলা, পশ্চিমে বিমলা, শঙ্খের পশ্চাদদিকে সৰ্বমঙ্গলা, উত্তরদিকে অৰ্দ্ধাশনী ও লম্বা, দক্ষিণে কালরাত্ৰি, কালরাত্রির পশ্চাতে চণ্ডরূপা এবং পূর্বদিকে দেবী মরীচিকা অবস্থিত। 鹤 পুরাণে লিখিত আছে যে এই অষ্টশক্তি কর্তৃক পুরুষোত্তমক্ষেত্র রক্ষিত হয়। মঙ্গলাদেবীকে দর্শন ও তাহার পূজা করিলে মানুষের সর্বপ্রকার মোহের বন্ধন দূরীভূত হয়। আমরা যে বটবৃক্ষের কথা উল্লেখ করিলাম নারদপুরাণে ও ব্ৰহ্মপুরাণে ইহা অক্ষয়বট বা কল্পবৃক্ষ নামে বর্ণিত হইয়াছে— ৪২১