পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'est-seat পূজা করিয়া সর্বাগ্রে রথের দড়ি ধরিয়া টানেন, এসময়ে ৪২০০শত কুলিতে রাজার সহিত রথের দড়ি ধরিয়া টানে এবং যাত্ৰিগণ ও পাণ্ডাগণ সহায়তা করে, পূর্বে হাতীতে টানিত। এসময়ে অগণিত মনুষ্য মুণ্ড ও যাত্ৰিগণের কল-কোলাহলে শ্রবণ বধির হইয়া যায়, কারণ রথেতে শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবকে দর্শন করিতে পারিলে আর তাহার পুনর্জন্ম হয় না। সেই দিবসই গুণ্ডিচার বাড়ীতে রথ যাইবার কথা, কিন্তু তাহা হইতে পারে না, সেখানে যাইতে প্ৰায় नि वि व्लां । پلاړ রথযাত্ৰা ব্যতীত শয়ন একাদশী, ঝুলন-যাত্ৰা, জন্মাষ্টমী কালীয়দমন-যাত্ৰা, দেবের পাশ্ব পরিবর্তন, উত্থান একাদশী, রাসযাত্রা, প্ৰাবরণোৎসব, (ওড়িষ্যা বাসিগণ ইহাকে ঘরানাগি বলে ) অভিষেকোৎসব, মাঘীপূর্ণিমা, দোলযাত্রা, রামনবমী, দমনকভঞ্জিকা ইত্যাদি উৎসব হইয়া থাকে। ‘উৎকল খাগু” পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে এসমুদয় উৎসবের কোন একটি দর্শন করিলেই মহাপুণ্যলাভ হয়। ] এসকল উৎসব ব্যতীত নবকলেবর নামক আরেকটি উৎসব হইয়া থাকে। এসময়ে শ্ৰীমুক্তির জীর্ণদেহ পরিত্যাগ করিয়া নূতন ও সুন্দর মূৰ্ত্তি স্থাপিত হয়, এই নবমূৰ্ত্তি স্থাপন উপলক্ষে যে উৎসব হয় তাহার নামই নবকলেবর উৎসব । জগন্নাথের অন্যান্য যে সমুদয় উৎসব হয় তাহার মধ্যে এই উৎসবই বিশেষ প্ৰধান, এসময়ে নানাদেশ দেশান্তর হইতে লক্ষ লক্ষ যাত্রী শ্ৰীমূৰ্ত্তির নবকলেবর দেখিতে আগমন করেন। ওড়িষ্যার পণ্ডিতেরা বলেন যে আমাঢ় মাসে দুইটী পূর্ণিমা ও মলমাস হইলেই নবকলেবর হয়, এরূপাবস্থায় সাধারণতঃ সাত বৎসর হইতে ত্ৰিশ বৎসর মধ্যে উক্ত নবকলেবর হইয়া থাকে। এ বিষয়ে নীলাদ্রিমহােদয়ের মত এই যে :- ? “বর্ষাণাং শততো বাপি তদৰ্থং বা নৃপোত্তম। : বর্ষ-বিংশতিতো বাপি পঞ্চবিংশতিতশাচ বা । ] জীৰ্য্যতাং দারু দেহানাং দেবানাং ঘটনাভবেৎ।” । 严 নৰকলেবর । অর্থাৎ একশত বছরেই হউক বা পঞ্চাশ বছরেই হউক। কলিযুগে শ্ৰীহরির