পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬০১

9tst-gas w “একি কখন সম্ভবপর হইতে পারে যে আমার পত্নীগণ আমার পুত্রের প্রতি অনুরাগিণী ? ইহা সম্পূর্ণ অসম্ভব।” শ্ৰীকৃষ্ণের উত্তরে নারদ বলিলেন যে “আমি আমার উক্তির সততা একদিন আপনার নিকট প্ৰমাণ করিব।” একথা বলিয়া মহর্ষি নারদ তদীয় গন্তব্যস্থানে চলিয়া গেলেন । এক দিবস রৈবতক পর্বতে শ্ৰীকৃষ্ণ যখন তঁাহার স্ত্রীগণের সহিত জলকেলি করিতে ছিলেন সে সময়ে নারদ দ্বারকায় উপনীত হইয়া শাম্বকে বলিলেন যে “তুমি এক মুহূৰ্ত্তও কাল বিলম্ব না করিয়া তোমার পিতার নিকট গমন করিয়া আমার আগমন বার্তা জ্ঞাত কর,--যাও আমার বিশেষ প্রয়োজন আছে।” শাম্ব নারদের আজ্ঞায় পিতার নিকট সংবাদ দিতে গেলেন-- তখন কুষঃপত্নীগণ উন্ম স্তভাবে জল-ক্রীড়ায় নিরত ছিল ; তাহারা এই সুন্দর সুঠাম যুবককে দেখিয়া সকলেই কাম-মোহিত হইল ও দিকে শাম্বের পশ্চাৎ পশ্চাৎ নারদও আসিয়া সেস্থানে উপস্থিত হইল । নারীদের উপস্থিতিতে এবং শাম্বকে দেখিয়া তদীয় পত্নীগণের কামভাব দর্শনে কৃষ্ণঃ অত্যন্ত রুষ্ট হইয়া রমণী দিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “হে কামাত্তা রমণীগণ তোমরা কখনও স্বাগলাভ করিতে পরিবেন এবং দসু্যহস্তে পতিত হইবে।” আর শাস্বকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন যে “তোমার কাম সদৃশ দেহ সৌন্দৰ্য্য দর্শনে রমণীগণ কামমুগ্ধ হইয়াছে অতএব তুমি কুণ্ঠরোগাক্রান্ত হইবে।” শাম্ব নারদের নিকট ইহার প্রতীকারোপায় প্রার্থনা করিল । নারদ তাহাকে এ স্থানে আসিয়া সূৰ্য্যদেবের তপস্যা করিতে আদেশ দিয়াছিলেন। কিছুদিন তপস্যার পর শাম্বকে স্বপ্নে সূৰ্য্যদেব দেখা দিলেন ও পরদিন প্ৰত্যুষে চন্দ্রভাগা নদীতে স্নান করিতে গিয়া সূৰ্য্যের উজ্জ্বল দীপ্তিময় তনু দেখিতে পাইলেন । শাম্ব সূৰ্য্যদেবের পূজার জন্য ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িলেন ও কিরূপে উৰ্তাহার পরিচর্য্যা হইবে একথা সূৰ্য্যদেবকে জিজ্ঞাসা করায় সূৰ্য্যদেব শাম্বকে কহিলেন যে “ন যোগ্যঃ পরিচর্য্যাং জাম্বুদ্বীপে মমানঘ | মম পূজাপরান কৃত্বা শাকদ্বীপাদিহানয়। মগশ্চ মামগাশ্চৈব মানসা মন্দগাস্তথা । তন্মগান মম পূজাৰ্থং শাকদ্বীপাদিহানয় ॥” 88७