পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\3ਫ প্রবার দাক্ষিণাত্য ভ্রমণোদ্দেশ্যে বাড়ী হইতে বাহির হইয়া ভারতের রাজধানী প্ৰাসাদময়ী কলিকাতা নগরীতে উপনীত হইলাম। এস্থানে শারীরিক ক্লান্তি দূরীকরণার্থ দিন কয়েক বিশ্রাম করিয়া এক নিদাঘ নিশীথে ওয়ালটেয়ার যাত্ৰা করিলাম। রোগ-জীর্ণ বাঙ্গালীর পক্ষে ওয়ালটেয়ার এখন তীৰ্থস্থলে পরিণত হইয়াছে; সমুদ্র-বায়ু ফুসফুসের দোষ নষ্ট করে বলিয়া ডাক্তারদের পরামর্শে বহু ফুসফুস রোগক্রান্ত রোগী স্বাস্থ্যলাভার্থ এস্থানে আগমন করিয়া থাকেন। সমুদ্র-তীরবর্তী পৰ্বতবেষ্টিত এই স্থানটি নৈসৰ্গিক সৌন্দৰ্য্যের জন্যও যেরূপ লোক-লোচনের আনন্দবৰ্দ্ধন করিয়া থাকে ; রোগ-কাতর ব্যক্তিকে পুনরায় স্বাস্থ্যসুখ প্ৰদান করিতেও তদ্রুপ মুক্তহস্ত। সাগরের ভীমমন্দ্ৰ, বাতাসের শো শো শব্দ, উজ্জ্বল তপনালোকে চতুর্দিকের হসিত সৌন্দৰ্য্য, সত্য সত্যই নবাগত পথিকের নিকট সহসা এক স্বপ্নময় দেশের মোহাবরণ উন্মুক্ত করিয়া দেয়। মদ্রদেশের সীমান্ত প্রদেশে ওয়ালটেয়ার বর্তমান সময়ে সৌন্দৰ্য্যে ও স্বাস্থ্যকর স্থান বলিয়া বিশেষ প্ৰসিদ্ধিলাভ করিয়াছে। একাধারে সমুদ্রের ও গিরিশ্রেণীর মনোমোহন সৌন্দর্ঘ্য অতি অল্পস্থলেই দেখিতে পাওয়া যায়। কলিকাতা হইতে ইহা ৫৪৭ মাইল দূরে অবস্থিত। এই সুদীর্ঘ পথ ২০ বিশ ঘণ্টায় অতিক্ৰম করিতে হয়। ওয়ালটেয়ার মান্দ্ৰাজ প্রেসিডেন্সীর ভিজিগাপাটাম ডিষ্ট্রীকে অবস্থিত। কলিকাতা হইতে ওয়ালটেয়ার যাইবার পথিপার্শ্বস্থ দৃশ্যাবলী মনােরম। সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা বঙ্গভূমির লোচনানন্দদায়ক সৌন্দৰ্য্য রেলপথে গমনাগমনকালে যেরূপ পূর্ণভাবে উপলব্ধি করা যায়, অন্যত্র সেরূপ বৈচিত্ৰ্যতার সহিত তাহা অনুভূত হয় না। ওয়ালটেয়ারের পথটি সুদীর্ঘ হইলেও প্রকৃতি সুন্দরীর অযত্ন বিন্যস্ত। সৌন্দর্য্য নিচয়ের প্রভাবে তাহা পথিকের বিরক্তি উৎপাদন না করিয়া বরং ঐন্দ্ৰজালিকের মায়াদণ্ডের ন্যায় অচিন্ত্যনীয় শক্তির সাহায্যে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়া ফেলে। এ পথে বহু নদ ও নদী পার या । পথের বর্ণন । \ტ(: (SV)