পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । অযাচিত শোভায় শোভান্বিত। বিহগ-কল-কাকলী-মুখরিত, শ্ৰীতি উচ্ছসিত চতুর্দিকের প্রাণারাম পবিত্র সৌন্দৰ্য্য অবলোকন করিলে হৃদয়ে অপূর্ব শান্তির উদয় হয়। পৰ্বতোপরি সমতল প্রদেশে বহু তাল পত্রের ছোট ছোট কুঁড়ে ঘর দেখিলাম, যাত্ৰিগণ ইচ্ছা করিলে ঘরগুলি সমস্ত দিনের জন্য ভাড়া করিয়া অভিপ্ৰায়ানুরূপ বিশ্রাম ও রন্ধনাদি কাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিতে পারেন। এই কুটীর শ্রেণী পার হইলেই দেব-মন্দির দৃষ্টিপথে পতিত হয়। মন্দিরে প্রবেশ করিতেই এক আনার পয়সা দিতে হয়, পর্বোপলক্ষে দুই আনা লাগে । মন্দিরের অভ্যন্তরে ও বহিদিকে নানা দেবদেবী, মনুষ্য ও অদ্ভুত অদ্ভুত জীব জন্তুর প্রতিমূৰ্ত্তি খোদিত দেখিতে পাওয়া যায় । মন্দির মধ্যস্থ আসল দেবতার নাম নরসিংহ । বৎসরের মধ্যে বৈশাখী শুক্ল তৃতীয়া এবং শুক্লা একাদশী, এই দুই দিন মাত্র যাত্ৰিগণ ইহঁর দর্শন পায় ; সে উপলক্ষে এস্থানে মেলা বসে এবং বিভিন্ন বিভিন্ন স্থান হইতে বহু লোকের সমাগম হয়। এই দুই দিবস ব্যতীত বৎসরের অন্য সময় ঠাকুরের দর্শন পাওয়া অসম্ভব, তাহাকে চন্দন দ্বারা আবৃত করিয়া রাখে, কথিত আছে প্ৰত্যহ একমণ চন্দন ঘসিয়া দেয় । প্ৰাঙ্গণের একদিকে লক্ষনী নারায়ণের মন্দির এবং অপর দিকে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত রথ দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দির-প্রাকারে বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তিও খোদিত দেখিলাম। কেহ কেহ বলেন যে পূর্বে ইহা বৌদ্ধ-মন্দির ছিল, পরে হিন্দুদের দখলে আসিয়া ইহা হিন্দু দেব মন্দিরে পরিণত হইয়াছে । মন্দিরের পশ্চাদিক হইতে আরও উচেচ পৰ্বতারোহণ করিলে রাম-সীতার মন্দিরে পহুছিতে পারা যায় । রাম-সীতা মন্দিরের পার্শ্বে ই গঙ্গাধারা অবলোকন করিলাম। একটী প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সৰ্প-মুখ হইতে অবিরত নিৰ্ব্বরিণীর পবিত্র ধারা কুলু কুলু রব করিতে করিতে পতিত হইতেছে। যাত্ৰিগণ এখানে স্নান করিয়া পুণ্য সঞ্চয় করে এবং নিকটস্থ প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত অট্টালিকার মধ্যে রন্ধনাদি কাৰ্য্য নির্বাহ করিয়া থাকে । সীমাচলে আসিবার পথে আমরা মাধোধারা দর্শন করিয়াছিলাম। এস্থানে একটা মন্দির ও নিঝরিণী ব্যতীত দ্রষ্টব্য কিছুই নাই। পথের উভয় পার্শ্বে বহুল পরিমাণে আনারসের চাষ দেখিলাম। মৃত্তিকা বেশ উর্বর,--বলিয়া বোধ হইল। নানা জাতিয় भक्षुद्र । صb@