পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਫਿਸ2 | " . . 'sse? শ্রাবণ বেলা প্ৰায় এক ঘটিকার সময় বেজাওদা হইতে মছলিপত্তন বা মৎস্যনগরাভিমুখে রওয়ান হইলাম। মছলিপত্তন মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সীর অন্তভুক্ত কৃষ্ণা জেলার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সামুদ্রিক বন্দর ও নগর। প্রাচীন কালে এই স্থান বাণিজ্যের জন্যে বিশেষ বিখ্যাত ছিল, তখন ইহার বাণিজ্যখ্যাতি সুদূর ইউরোপ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিল। গ্ৰীক ভৌগোলিকগণ ইহাকে Mlates(olia শব্দে উল্লেখ করিয়াছেন । এই নগরের নামোৎপত্তি সম্বন্ধে কেহ কেহ বলেন যে পূর্বে এই স্থানে সমুদ্র-জাত মৎস্যের বিস্তৃত কারবার ছিল, সেজন্যই ইহার নাম মছলী ( মৎস্য) পত্তন (নগর) এইরূপ হইয়াছে। সমুদ্র গর্ভ হইতে এই নগরের সৌন্দৰ্য্য বড়ই চিত্তাকর্ষক। মছলিপত্তন যে পূর্বে কখনও হিন্দু শাসনাধীনে ছিল, নগরের "*" প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টি এবং ইতিহাস হইতে তাহার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। করমণ্ডল উপকূলে নগর রক্ষার জন্য যে স্থানে দুর্গ প্রতিষ্ঠিত তাহার দেড় ক্রোশ দূরে সমুদ্র-তটে মছলী বন্দর নামক দেশীয় লোকের বসতিপূর্ণ একটা পল্লী আছে, কেহ কেহ ঐ স্থানের নাম হইতে সমুদয় বন্দরের নাম হইয়াছে এইরূপও বলিয়া থাকেন । - ১. আমরা বৰ্ত্তমান সময় পূর্ব দুর্গটিকে ভগ্নাবস্থায় দর্শন করিলাম। ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে ঐ দুর্গ হইতে সৈন্যদল স্থানান্তরিত করা হয়, তাহার পর হইতেই দুর্গের এই ভগ্নাবস্থা। : দুর্গের অনতিদূরে প্রোটেষ্টাণ্ট ও রোমান ক্যাথলিক খ্ৰীষ্টান সম্প্রদায়ের গির্জা এবং একটীি ব্ৰহ্ম উপাসনা মন্দির আছে। পূর্বে যে স্থানে ইয়ুরোপীয়গণের বাসবাটি ছিল বর্তমান সময়ে তথায় একটী ফরাসীদের কুঠি বিদ্যমান আছে। বর্ষার সময় ইহার চতুর্দিকস্থ নিম্নভূমি জলে নিমগ্ন হইয়া যায়। ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে এস্থানে এক ভীষণ ঝড় হয়, সেই ঝড়ে মছলিপত্তনের সমুদয় গৃহাদি উড়িয়া যায় এবং বহুব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত হয়, . : من ك.