পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালহস্তী । ঐরূপ আন্দোলিত হইয়া থাকে। মহাদেবের সঙ্গে পাৰ্বতীও আছেন, র্তাহার নাম জ্ঞানপ্ৰসন্না । পুরাণকার বলেন যে কোনও কারণে মহেশ্বর ভগবতীর প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়া ভঁাহাকে নর-যোনি হইবার অভিশাপ প্ৰদান করেন । দেবাদিদেবের শাপে ভগবতী নরদেহ ধারণ করিয়া ভবানীপতিকে সন্তুষ্ট করেন, মহাদেবও তেঁাহাকে মুক্তিপ্ৰদান করিয়া জ্ঞানপ্ৰসন্না নামে অভিহিত করেন। ভগবতীর তপস্যা সময়ে দুর্গা নাস্ত্রী জনৈকা রমণী তাহার অনুগমন করেন, তজ্জন্য দেবানুগ্রহে তিনিও মুক্তিলাভ করিয়া এই স্থানে স্বতন্ত্র মন্দিরে দুর্গাক্ষা দেবী নামে পূজিতা হইয়া আসিতেছেন । পাহাড়ের পার্শ্বে শিব-মন্দিরের দক্ষিণদিকে মণিকুণ্ডেশ্বর স্বামীর মন্দির। কোনও রমণীর তপস্যায় মহাদেব সন্তুষ্ট হইয়া তাহার মৃত্যুর সময়ে স্বয়ং তারকব্ৰহ্ম মন্ত্র প্রদান করিয়াছিলেন, তাহাতে সেই রমণী মুক্তিলাভ করে। । তদবধি মুমূর্ষ ব্যক্তিগণকে এখানে আনয়ন করিয়া দক্ষিণ পার্শ্বে শয়ন করাইয়া দেওয়া হয়, স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে এইরূপ বিশ্বাস প্ৰচলিত আছে যে মৃত্যুকালে পার্শ্ব পরিবর্তন করাইয়া উৰ্দ্ধদিকে কৰ্ণ রাখিয়া বামপাশ্বে শয়ন করাইলে দক্ষিণ কৰ্ণ দিয়া তাহার আত্মা বাহির হয় এবং মৃতব্যক্তি মোক্ষলাভ করিয়া থাকে। পর্বতের পাদদেশে ব্ৰহ্মার মন্দির অবস্থিত । এই মন্দিরের উপরের বিবিধ খোদিত মূৰ্ত্তি দেখিলাম। জনপ্ৰবাদ এইরূপ যে ব্ৰহ্মা এই স্থানে বসিয়া তপস্যা করিয়াছিলেন । এই মন্দিরের দক্ষিণদিকে পর্বতের আধিত্যকায় একটি পুষ্করিণী দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার চতুর্দিকের ঘাট প্রস্তরে বাঁধান। পুষ্করিণীর নিকট ভরদ্বাজ স্বামীর মূৰ্ত্তি। সেইজন্য এই স্থান ভরদ্বাজ মুণির আশ্রম বলিয়া খ্যাত। প্ৰতি মাঘ মাসে এস্থানে দশ দিবস ব্যাপী এক মহোৎসব হয়, তাহাতে বহুলোকের সমাগম হইয়া থাকে । কালহস্তীর মৃত্তিকা লালবর্ণ ও বালুকা-মিশ্রিত । তাম্র ও লৌহ এস্থানে পাওয়া যায়, কঁাচের কারখানাও আছে। এখানকার জমিদারকে গভর্মেন্ট C. S. I. উপাধি দিয়াছেন। গভৰ্মেণ্ট কর্তৃক ১৮০২ খ্ৰীষ্টাব্দে এই জমিদারীর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা হইয়াছে। কালহস্তীর মন্দিরের বাহিরে কয়েকটি গপুরাম। ( সিংহদ্বার) আছে, ാ