পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপতি । নামে অপর এক রাজা এই মন্দিরের সংস্কার করাইয়া দেন। এস্থানে প্ৰতি আশ্বিন মাসে দশ দিবস ব্যাপী একটা উৎসব হয়, ইহাই এখানকার প্ৰধান উৎসব। উৎসবের পঞ্চম দিনে গরুড়োৎসব ও দশম দিনে নারায়ণবনে পদ্মাবতীর সহিত বাৎসরিক কল্যাণোৎসব হইয়া থাকে। স্বামী পুষ্করিণীর তীরে একটী সামান্য মন্দির আছে, তাহাতে বরাহস্বামীর মূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠিত । দেবালয় হইতে তিন মাইল দূরে পাপবিনাশিনী নামক একটী তীর্থ আছে । ইহা ছোট একটা জল-প্ৰপাতের নীচে অবস্থিত। এই জল-প্ৰপাতের নীচে দাড়াইয়া সুমান করিলে প্ৰবাদ এইরূপ যে ব্ৰহ্মহত্য, স্ত্রীহত্যা প্ৰভৃতি গুরুতর পাপানুষ্ঠানেরও বিনাশ হয়। শুনিলাম যে পাপের তারতম্যানুসারে জলের বর্ণ পরিবৰ্ত্তিত হয়, কিন্তু আমার বিশেষ ভাবে তাহা লক্ষ্য করিয়া দেখি নাই। স্থলপুরাণ পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে পূর্দের এই স্থানে ঋষিগণের পুণ্য তপোবন বিদ্যমান ছিল, বৰ্ত্তমান সময়ে ইহার চারিদিকেই নিবিড় জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এস্থানে কাহারও কোনও মানস করিবার আবশ্যক হক্টলে কপিলাতীর্থে স্নান করিয়া স্বর্ণ বা রৌপ্য নিৰ্ম্মিত ব্যঙ্কটেশ্বরের কঁাটা গলায় ধারণ করিতে হয়। পরে স্বামীতীর্থে অবগাহন করিলে কঁাটি আপনি হইতে খুলিয়া পড়ে, এইরূপ প্ৰবাদ প্রচলিত। সাধারণতঃ যাত্ৰিগণ পীড়ামুক্তি কামনায় এবং পুত্রার্থে এস্থানে আগমন করে ; এ তীর্থে স্ত্রী যাত্ৰিগণের সংখ্যাই বেশী হয়। রমণীগণ এখানে কেশমুণ্ডন করিয়া থাকেন, মণ্টপমের নিকটেই নাপিতগণ ক্ষৌরকাৰ্য্য সম্পাদন করে। পূর্বে এই মন্দিরের আয় দুই লক্ষ টাকা ছিল, এখনও নিতান্ত অল্প নহে। ব্ৰাহ্মণ মোহান্তগণের কর্তৃত্বাধীনেই এই মন্দিরের সমুদয় ভার ন্যস্ত। পাহাড়ের উপরে শ্বেত চন্দনের forest আছে, এই ফরেষ্ট দেবতার সম্পত্তির অন্তভুক্তি-দেবতার প্রধান মোহান্ত উহার তত্ত্বাবধানাদি করিয়া থাকেন। ইহাতে দেবালয়ের যথেষ্ট। অর্থাগম হয়-কেহ এই কাষ্ঠ ভাঙ্গিলে এবং লইলে দণ্ডিত হয়। বৃন্দাবনের সোণার তালগাছের ন্যায়। এখানেও একটা ধ্বজা আছে—ইহাতে কাষ্ঠের উপর পিত্তলের সুবর্ণ গিলিট আছে । ইহার উপরে ধবজা উড়াইতে হয় । পাপবিনাশিনী তীর্থ। \b.) GSG