পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণী । গভৰ্মেণ্টের সহিত নবাবের সন্ধি হয়। নবাব ইংরেজ বিরুদ্ধে ১৭৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে সন্ধি ভঙ্গ করিয়া যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় ব্রিটিশ গভৰ্মেণ্ট এই প্ৰদেশ নিজ অধিকার-ভুক্ত করিয়া লইলেন, নবাব বৃত্তিভোগী রহিলেন । এখন ত্ৰিশিরাপল্লীর দুর্গ আর নাই, দুইটী দ্বার তাহার সাক্ষীস্বরূপ বিদ্যমান আছে। দুর্গ প্রাচীর ভগ্ন হইয়া গিয়াছে, পরিখার খাদ পূর্ণ করিয়া ইহার উপর দিয়া রাজপথ প্ৰস্তুত করা হইয়াছে। দুর্গের ভিতর প্রাচীন রাজবাটী অদ্যাপি দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাতে এখন তহশীলদারের কাছারী, মুন্সেফ কাছারী স্থানীয় কোষাগার ও ঔষধালয় প্রভৃতি আছে। পৰ্বতের উপরে এই দুর্গট অবস্থিত । পৰ্বতে আরোহণ করিবার জন্য দক্ষিণদিকে গ্রেনাইট প্রস্তরের নিৰ্ম্মিত সিঁড়ি আছে। সহরের উত্তরাংশে পাহাড়টি অবস্থিত। ইহার উচ্চতা ২৩৬ ফুট। পর্বতোপরি হইতে চতুর্দিকস্থ প্ৰায় ত্ৰিশ মাইল স্থানের পরম রমণীয় দৃশ্যাবলী নয়ন-পথে পতিত হয়। সোপানের উপর চাতালের বামপাশ্বে তযুমানস্বামী মহাদেবের মন্দির, সম্মুখস্থ পর্বত কাটিয়া একটা ঘর প্রস্তুত করা হইয়াছে, কর্নাটিক যুদ্ধের সময় ইহাতে বারুদ থাকিত, এই মন্দিরটা দেখিতে অতি মনোহর। সম্ভবতঃ চোলরাজগণ এই দেবমন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । প্ৰতি বৎসর ভাদ্র মাসে মহাদেবের উৎসবোপলক্ষে এস্থানে বহু লোক-সমাগম হয়। মন্দির মধ্যে পাৰ্বতী, গণেশ ও স্কন্দের (সুব্রহ্মণ্য) বিগ্ৰহ প্রতিষ্ঠিত। পর্বদিনে সমুদয় দেব-বিগ্রহকে নগর প্রদক্ষিণ করান হয়। মন্দির সম্মুখস্থ রৌপ্য মণ্ডিত সুবৃহৎ নন্দিকেশ্বর বৃষের মূৰ্ত্তিটা বড়ই সুন্দর। এ স্থানে জেলখানার ন্যায় সুবৃহৎ জেলখানা মান্দ্ৰাজ প্রেসিডেন্সীতে আর নাই। ফোটের উত্তরদিকে কতকগুলি ছোট ছোট পাহাড় আছে, স্বামী ব্যবসা ও তাহাদিগকে ফ্ৰেন্স রক্স কহে। কাবেরী খালের অপর পারে শিল্প ইত্যাদি। সেরিঙ্গম দ্বীপ। ৩২টা খিলানের সেতু দ্বারা মূল ভূ-ভাগের সহিত দ্বীপটী সংলগ্ন। এই দ্বীপ প্ৰায় ১৭ মাইল দীর্ঘ ও ১৷ মাইল বিস্তৃত। ইহার উত্তরে আরও কতকগুলি পর্বতশ্রেণী/ দেখিতে পাওয়া যায় । বিশপ হিবার ও চাঁদ সাহেবের কবর অন্যতম দর্শনীয়। তামাক, চুরট প্ৰস্তুত এবং বন্ত্র বয়নই এখানকার লোকের প্রধান ব্যবসা। এস্থানের চুরট সর্বত্র ब८ ९ ।। be