পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८.9झ । গণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। তাঞ্জোর জেলা মান্দ্ৰাজপ্রেসিডেন্সির উপবন বলিয়া কথিত । এই জেলার উত্তর ভাগে নারিকেলকুঞ্জ পরিশোভিত। কাবেরী নদীর বিস্তীর্ণ ব-দ্বীপ প্রভৃতি রত্ন প্রসব করে। হিন্দু-রাজগণের শাসন-সময়ে তাঞ্জোর সকল প্রকার শিল্প, বাদ্যযন্ত্র, সুরবিদ্যা, কাব্যরচনা ও চিত্রবিদ্যার কেন্দ্ৰস্বরূপ ছিল। এখন ক্রমেই এ সমুদয়ের চর্চা কমিয়া আসিতেছে ; কিন্তু এখনও তাঞ্জোরে যে সমুদয় চিত্র প্রস্তুত হয়, তাহা অত্যন্ত সুন্দর, হাবভাবে কলিকাতা আর্ট ষ্টুডিওর চিত্র অপেক্ষা অনেকাংশে শ্রেষ্ঠ । ইহা দক্ষিণ ভারতীয় রেলওয়ের একটা ষ্টেসন । এ স্থানে জেলার জজ, কালেক্টার, ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি বাস করেন। এই নগরে মিউনিসিপালিটী আছে । পূর্বে ইহা প্রতাপান্বিত দক্ষিণাত্যের হিন্দু-রাজবংশের রাজধানী থাকায় রাজনীতি, ধৰ্ম্মনীতি প্ৰভৃতি আলোচনার কেন্দ্ৰস্থল ছিল । এইস্থান প্ৰাচীন হিন্দু রাজাগণের কীৰ্ত্তি স্বরূপ পূর্বতন স্থপতি-নৈপুণ্যের পরিচায়ক। নানাবিধ সূক্ষম শিল্পকাৰ্য্যের জন্য তাঞ্জোর বিখ্যাত। এখানকার রেসমের কাজ, কার্পেট, জহরতের জিনিষ, তামার দ্রব্য প্রভৃতি সর্বত্র সমাদৃত। তাঞ্জোর প্রথমে চােল নৃপতিগণের রাজধানী ছিল। পরে ইহা মহারাষ্ট্ৰীয়াধিকারে আইসে। মহারাষ্ট্রবংশীয় নৃপতিগণ ১২২ বৎসর কােল এই রাজ্যে রাজত্ব করিয়াছিলেন। শিবাজীর ভ্রাতা ভেঙ্কাজী সর্বপ্রথমে তাঞ্জোর দখল করিয়া মহারাষ্ট্রবংশ প্রতিষ্ঠিত করেন। শরভোজীর পর তঁহার দ্বিতীয় পুত্ৰ শিবাজী পিতৃপদ প্রাপ্ত হন। শিবাজী মৃত্যুর পূর্বে এক দত্তক গ্ৰহণ করিয়াছিলেন ; কিন্তু মাকু ইস্ অব ডালহৌসী সে দত্তক অস্বীকার করিয়া ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে তাঞ্জোর রাজ্যের অস্তিত্ব লোপ করেন এবং রাজপরিবারবর্গের মাসিক বৃত্তি নিদিষ্ট করিয়া দেন। এখন তাঞ্জোরের সে পূর্ব শ্ৰী নাই। দুর্গটি স্থানে স্থানে ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। রাজবাটীর কোনওরূপ ংস্কার হইতেছে না। রাণীদিগের নিজ নিজ ভূসম্পত্তি রিসিভারের হস্তে গিয়াছে। এই সম্পত্তির বার্ষিক আয় ১॥০ দেড় লক্ষ টাকা । ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দে ফরাসী গবর্ণার লালি এই নগর আক্রমণপূর্বক Gbሥዓ