পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S=SN ভোরের বেলা আমরা মাণ্ডাপাম পহুছিলাম। পথের উভয় পার্শ্বে ছোট ছোট পাহাড়, নারিকেলকুঞ্জ পরিশোভিত ছােট ছোট গ্রাম, বৈচিত্র তেমন কিছুই নাই। এখান হইতে আমাদিগকে লঞ্চে পন্থম” যাইতে হইবে । আমরা লঞ্চারোহণে পাস্বামাভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলাম, সমুদ্রের শাখা প্রসারিত ‘খাড়ির তরঙ্গগুলি সূৰ্য্য-কিরণ-প্ৰদীপ্ত হইয়া নৃত্য করিতেছিল, দূরে ভারতমহাসাগরের সুবিস্তৃত নীল কলেবর নয়ন সমক্ষে অতুল সৌন্দৰ্য্য উদ্ভাসিত করিয়া তুলিয়াছিল। বেলা প্ৰায় দশ ঘটিকার সময় আমরা পাম্বম উপনীত হইলাম। ইহা একটী ক্ষুদ্র দ্বীপ, দৈর্ঘ্যে এগার মাইল এবং প্রস্থে ছয় মাইল । ভারতবর্ষ এবং রামেশ্বর দ্বীপের মধ্যবৰ্ত্তী পাম্বামী প্ৰণালীর নাম হইতে এই নগরের নাম পাস্বম হইয়াছে। এই নগরট রামেশ্বরম দ্বীপের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত । এনগরের লোক সংখ্যা ২,০০০০ । এস্থানে গভমেণ্টের আফিস ও কয়েক জন ব্যবসায়ীর দোকান ইত্যাদি ছাড়া দর্শনোপযোগী কিছুই নাই। একটী ছোট বাজার, नाक्षांद्म दिन । বাজারে খাদ্য দ্রব্যাদি যৎসামান্য পরিমাণে পাওয়া যায় । জল দুপ্রাপ্য ; আহাৰ্য্য ইত্যাদির জন্য আমাদিগকে এস্থানে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইয়াছিল। পাম্বমের অধিবাসী দিগকে ‘লাব্বর” কহিয়া থাকে। ইহারা মাঝি ও ডুবুরির কাৰ্য্য করিয়া জীবিকা-নির্বাহ করে। এক সময়ে এস্থান মুক্ত সংগ্রহের জন্য বিশেষ বিখ্যাত ছিল। পাম্বমের আলোকগৃহটি (Light-House) sa frī Šs ভারতবর্ষ এবং সিংহলের মধ্যবৰ্ত্তী কৃত্রিম খাদকেই পাস্বামী কহে। এই খাদ মাদুরা জেলার এবং রামেশ্বর দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। রামেশ্বরম দ্বীপে যে খোদিত লিপি আছে, তাহা হইতে জ্ঞাত হওয়া যায় যে ১৪৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে যে ঝড় হয় তাহাতে এই যোজক ভগ্ন হইয়া যায়, পূর্বে এই স্থান দিয়া জাহাজাদি গমন করিতে পারিত না, কিন্তু পরিশেষে ইহা প্ৰশস্ত করা হইয়াছে। বৰ্ত্তমান সময়ে এই যোজকের দৈর্ঘ্য ৪২৩২ ফিট, বিস্তার ৮০ " &b