পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

لی,د۔؟ .. : . ہنشاہ ਤੇ6 =িউটকোরিণ একটী সামুদ্রিক বন্দর। মহার্ণবের মহান সৌন্দৰ্য্য পূর্ণরূপে এস্থানে উপভোগ করা যায়। সমুদ্রের তীরে উপবেশন করিলে মহাকবি কালিদাসের সমুদ্র-বর্ণনা আপনা হইতেই মনে হয়, সেই— দূৱাদয়শ্চক্রনিভস্যািতষী তমাল তালী বনরাজি নীলা । আভাতি বেলা লবণাম্বুরাশে র্ধারা নিবন্ধেব কলঙ্ক রেখা ৷ (ত্রিয়োদশ সর্গ—রঘুবংশ ) এ স্থানে প্রত্যক্ষীভুত। . একদিকে তাল-খাৰ্জর ও নারিকেল তরুরাজি বিরাজিত সৌম্যতট প্ৰদেশ, অন্যদিকে দিগন্ত বিস্তৃত উত্তাল তরঙ্গ-সন্ধুল মহার্ণবের গভীর গর্জন শ্ৰবণে মনে অপূর্বপুলক ও বিস্ময়ের উদয় হয়। যতদূর দৃষ্টি যায়, কেবল অনন্ত নীলাম্বুরাশির উপরে অনন্ত তরঙ্গরাশি, একটার উপরে আরেকটী, তার উপরে আরেকটী, এইরূপ ভাবে পরস্পরে আলিঙ্গন করিতে করিতে অগ্রসর হইতেছে। দূরে চক্রবাল রেখা (Horizon) আহা ! কি সৌন্দৰ্য্য! “দূরে দূরে অতি দূরে সুনীল গগন, সিন্ধু সনে গেছে মিশে সুদৃশ্য কেমন !” দূর হইতে যখন এক একটী তরঙ্গ প্ৰলয়নাদে তাঁটাভিমুখে অগ্রসর হইতে থাকে, তখন মনে হয়, বুঝি এই মুহূৰ্ত্তেই বসুন্ধরা সিন্ধুর বিকটগ্ৰাসে পতিত হইবে। কিন্তু বিশ্ব-স্রষ্টা জগদীশ্বরের কাৰ্য্যপ্ৰণালী এমনি নিয়ম শৃঙ্খলে আবদ্ধ যে ঐ সকল তরঙ্গ-মালা ক্রমশঃ ক্ষীণ অপেক্ষা ক্ষীণতর আকার ধারণ করিয়া তটদেশে আঘাতিত হইয়া চুৰ্ণ বিচূর্ণ হইয়া যায়। ‘সমুদ্র কখনো বেলাভূমি উত্তীর্ণ করে না।” এ কথার যথার্থতা তখন প্রমাণিত হয়। অন্তগমনাবলম্বী সূৰ্য্যদেবের লোহিত-কিরণ-মণ্ডিত অপূর্ব সাধারণ বর্ণনা ।