পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং নগর অধিকার করে। ইহার প্রায় এক শতাব্দী পরে কালীকটের জামোরিণ। আবার কোচীন অধিকারের চেষ্টা পান, কিন্তু ত্ৰিবান্ধুরের মহারাজা তাহাকে পরাজিত করিয়া কোচীনের কতকাংশ অধিকার করিতে সমর্থ হয়। ওলন্দাজাধিকারের পরে ১৭৭৬ খ্ৰীষ্টাব্দে মহীসুরের মুসলমান নরপতি কোচীন সাম্রাজ্য স্বীয় অধিকার মধ্যে আনয়ন করিয়া কোচীন রাজাকে মিত্ররাজ বলিয়। গ্রহণ করেন। ১৭৯০ খ্ৰীষ্টাব্দে টিপু কর্তৃক এই নগরের বহু অংশ ধবংস হইয়াছিল, কিন্তু এ সময়ে তাহাকে শ্ৰীরঙ্গ পাওন রক্ষার জন্য ফিরিতে হয় বলিয়া তিনি একেবারে এই নগরের উচ্ছেদ সাধন করিতে পারেন নাই। ১৭৯২ খ্ৰীষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত এই নগর টিপুর শাসনাধীনে ছিল। এই সময়ে টিপু সুলতানের ভয়ে ১৭৯১ খ্ৰীষ্টাব্দে কোটানরাজ ইংরেজের সাহায্য প্রার্থনা করেন। তখন লর্ড ওয়েলেসলি গবৰ্ণর, তিনি এই সুযোগ উপেক্ষা না করিয়া কোচীন রাজের সহিত বন্ধুত্ব করিয়া লন। এক লক্ষ টাকা করা নিৰ্দ্ধারিত হয়। কোচীন রাজ প্ৰকৃতি-পুঞ্জের দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্তা। আর্নাকোলাম তাহার রাজধানী, কিন্তু তিনি সচরাচর ত্রিপুন্তোরা নামক স্থানে বাস করিয়া থাকেন। কোচীনের রাজার আয় ৬২৩৬%২০২ টাকা। ১৮৮১ খ্রীস্টাব্দে রবিবৰ্ম্মার পুত্র রামবৰ্ম্মী রাজা ছিলেন, ইনি ১৮৩৫ খ্ৰীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করিয়া ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে রােজ্যারোহণ করেন। ১৮৭১ খ্ৰীষ্টাব্দে রামলম্মা ব্রিটিশ গভমেণ্টের নিকট হইতে K. C. S. I. উপাধিও সম্মানার্থে ১৭টি তোপ পাইয়াছিলেন। ইহার মৃত্যুর পরে ১৮৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৩শে জুলাই রামবৰ্ম্ম রাজ্যোভিষিক্ত হইয়াছেন। কোচীনের চতুর্দিকেই প্ৰায় লবণাক্ত জল। এস্থানে সুপেয় সলিলরাশি পাওয়া যায় না। এমনকি কৃপ এবং পুকুরের জল পৰ্য্যন্ত লবণাক্ত, এই জল দীর্ঘকাল পান করিলে গোদ এবং অন্যান্য নানা প্রকারের দূষিত পীড়া 哗 হয়। শ্লীপদ রোগকে কোচীনের পদ কহে। কোচীন নগর হইতে চৌদ্দমাইল দূরে এলওয়ে নামক স্থানে পেরিয়ার নামক স্রোতস্বিনী আসিয়া ব্যাকওয়াটারে পতিত হইয়াছে। এই নদীর জলে ধাতব পদার্থ মিশ্রিত আছে বলিয়া ইহা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর । বহুদূর হইতেও অনেকে এই নদীর পবিত্র এবং স্বাস্থ্যপ্ৰদ সলিলে অবগাহন। কোচীনে জল বিক্রী। V33.