পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tests - করিতে এলওয়েতে আসিয়া থাকে। বড় একখানা নৌকায় করিয়া প্ৰতিদিন এলওয়ে হইতে জল আনিয়া এস্থানে বিক্রয় করে। নৌকার ভিতর অনেকগুলি পিপে থাকে, টিনের দমকল দ্বারা সেগুলি পূর্ণ করা হয় এবং সেই পম্পের সাহায্যে পিপে হইতে জল তুলিয়া কলসীতে বিক্রয় করে। কলসীর আকৃতি অনুসারে জলের মূল্য এক আনা ও দুই আনা হয়। এলওয়ে নগরের অনতিদূরে ভারতবর্ষের শঙ্করাচাৰ্য্য জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তিনি জাতিতে নাম্বুরি ব্ৰাহ্মণ ছিলেন । পেরিয়া নদীর জল অত্যুত্তম বলিয়া এস্থানে বহু সাহেব মেমও স্নানার্থ আগমন করিয়া থাকেন। রজতসলিলা তরঙ্গিনীর ভিতরে অস্থায়ী কুটীরগুলির সৌন্দৰ্য্য বিশেষ চিত্তাকর্ষক । মালাবারের বৈচিত্ৰ্য নানা প্রকারে সহজেই ভ্ৰমণকারীর চিত্ত আকৃষ্ট করিয়া থাকে। এস্থানে ধানের চাষ বেশ হয়—নিকটবৰ্ত্তী ত্রিবাঙ্কোরেও যথেষ্ট হয়। কিন্তু তাহা দেশবাসীর প্রয়োজনানুরূপ নহে। সেজন্য ব্ৰহ্মদেশ, কলিকাতা এবং চট্টগ্রাম হইতে ধান ও চাউল আমদানী হয়। কোচীনে দুই শ্রেণীর সওদাগর দেখিলাম--ইউরোপীয় এবং দেশীয়। ইউরোপীয় সওদাগরগণ দেশীয়দের নিকট হইতে দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া ইউরোপে প্রেরণ করেন এবং ইউরোপ হইতে আনীত দ্রব্যাদি দেশীয়দিগের নিকট বিক্রয় করেন। দেশীয় সওদাগরগণের অধিকাংশই বম্বের মুসলমান বা ভেটীয়া বানিয়া। – কোচীনে দুই জাতীয় ইহুদীর বাস-সাদা এবং কালে । সাদা ইহুদীরাই প্রকৃত ইহুদী বলিয়া পরিচিত, জনপ্রবাদ এইরূপ যে পূর্বে কাল ইহুদীরা সাদা ইহুদীদের ক্রীতদাস ছিল, কিন্তু কালক্রমে এখন স্বাধীন হইয়াছে । ইহারা সাদা ইহুদীদের গির্জা ( Synagogue) এ উপাসনা করিতে পারে না, ইহাদের স্বতন্ত্র উপাসনা মন্দির আছে । ] ! মালাবারে কতকগুলি বিষয় আলোচনার যোগ্য-তিব্বতের বহু পত্যাত্মিক বিবাহ, গারো, খাসিয়া প্ৰভৃতি অনাৰ্য্য জাতির ন্যায় ভাগিনেয়ের উত্তরাধিকারত্বের নিয়ম, বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। দাক্ষিণাত্যে ও মালাবার কানারিজ, তেলেগু, তালিম এবং মালয়াম এ কয়টি ভাড়া প্রচলিত, এ সকলের আবার মূল দ্রাবিড় ভাষা। : ' '. . . . . ۔ ዘ*ያ