পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tests-ate আছে যে এই মন্দির মধ্যস্থিত শিব-মুৰ্ত্তি কেবল একশত বৎসর হইল এ স্থানে আনীত হইয়াছে। পূর্বে ইহা একটা জন্তু বৃক্ষের নীচে ছিল। রঙ্গনাদ স্বামীর মন্দিরের ন্যায় এই মন্দিরের চারিদিকেও পাঁচটা প্রাচীর আছে। এই প্রাচীরগুলি যথাক্রমে দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ১২৬ × ১২৩, ৩০৬ × ১৯৭; ৭৪৫ × ১৯৭; ২,৪৩৬ × ১,৪৯৩ ফিট। উচ্চতাও যথাক্রমে ৩০,৩৫,৬৫,৩৫। শেষ প্রাচীরটীির সহিত রাস্তা-ঘাট বাড়ী ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট হইয়া ইতস্ততঃ ভাগ হইয়া গিয়াছে। প্রত্যেক প্রাচীরের সম্মুখেই দাক্ষিণাত্যের প্রথানুযায়ী গোপুরাম আছে। গোপুরাম কোনটী ৬০ ফিট, BD DtD BDBBS BBDB DD SDS S BD DDD DBDS S BBDB DBDB প্রাচীর গাত্রে বহু খোদিত লিপি দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দিরটীি বিশেষ যত্ন কিংবা সতর্কতার সহিত রক্ষিত হইতেছে না, কারণ বহু স্থানই ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে দেখা গেল। শ্ৰীরঙ্গমের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতীব মনােরম। একাধারে এইরূপ সৌন্দৰ্য্য-বৈচিত্ৰ্য আর কোথাও দৃষ্ট প্রাকৃতিক སྟ་འོ། ། হয় না। রজত-সলিলা কাবেরী নদী স্নেহময়ী জননীর ন্যায় শ্ৰীীরঙ্গমের ক্ষুদ্র দেহখানিকে বেষ্টন করিয়া সাগরাভিমুখে বহিয়া চলিয়াছেন! প্ৰতি তরঙ্গ-উচ্ছাসে তদীয় প্রীতিরাশি উছলিয়া পড়িতেছে। তীরস্থিত বিটপীরাজির শ্যামল ছায়া নদী বক্ষে প্ৰতিবিম্বিত হইয়া নৰ্ত্তনশীল । অদূরস্থিত পাহাড়গুলি মেঘমালার ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে। এ অঞ্চলে যে দিকেই দৃষ্টি করা দেখিতে পাইবে যে সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ সকল উন্নত মস্তকে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। এখানকার জল বায়ু স্বাস্থ্যকর। ত্ৰিচিনপল্লী হইতে এ স্থানে আসিতে ঝাঁটুকা এবং গো-যান উভয়ই পাওয়া যায়। বশিষ্ঠ দ্বৈত দৰ্শন-মত-সংস্থাপক সুবিখ্যাত রামানুজ এই স্থানের অধিবাসী ছিলেন বলিয়াও শ্ৰীরঙ্গম বিশেষ বিখ্যাত। কিংবদন্তী এইরূপ যে তিনি ১২০ বৎসর কাল জীবিত থাকিয়া ১১৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দে মৃত্যুমুখে পতিত হন। অত্ৰত্য একটা মন্দির প্রাঙ্গণে র্তাহার বসিবার বেদী অঙ্ক্যাপি দেখিতে পাওয়া যায়। ভানুদেব ধীরে ধীরে যখন অস্তাচলে গমন করিতেছিলেন, দিনান্তের শান্ত মধুর মূৰ্ত্তি যখন প্রদোষের ধূসরছায়ারগুণ্ঠনে ফুটিয়া উঠিবার উপক্ৰম করিতেছিল, তখন সূৰ্য্যদেবের সেই স্তিমিত-লোহিত-রশ্মি ዪኃቅህ”