পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূপাল। দেখিবার উপযুক্ত। ভূপালের জুমা মসজিদটী বড়ই সুন্দর ; উচ্চ প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত সোপােনাবলীর দ্বারা মসজিদের উপরে আরোহণ করিতে হয় ; মসজিদের চারিদিকে নগরের মণি, মুক্ত, জহরত এবং অন্যান্য প্ৰধান প্ৰধান দোকান সমূহ বিদ্যমান । এই মসজিদটি খুদা বেগম নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। সহরের অনতিদূরে গিরি শ্রেণী শোভমান। শ্যামল গিরি শ্রেণীর সৌন্দৰ্য্য নয়নানন্দদায়ক । এই পর্বতের শিখর দেশে ফতেগড় কেল্লা অবস্থিত । ভূপালে জলের কল থাকায় ঘরে ঘরেই জলের সরবরাহ হয়, কাজেই এস্থানের লোকের জলাভাবে কোনও কষ্ট হয় না। এখানকার দুর্গের উপর হইতে হ্রদের ও নগরের দৃশ্য অত্যন্ত সুন্দর দেখায়। এই নগরের রাজপথ সমূহ প্ৰশস্ত ও সুন্দর। আলোর ব্যবস্থাও সন্তোষজনক । ষ্টেসনের সন্নিকটেই ডাকবাংলা আছে । ইহা ছাড়া হোটেল ও ধৰ্ম্মশালা প্ৰভৃতি থাকায় যাত্ৰিগণের কোনও অসুবিধা ভোগ করিতে হয় না । এ নগরের টাকশাল, অস্ত্রাগার প্রভৃতিও দর্শনীয়, তবে তাঁহাদের বিস্তু বিবরণ নিম্প্রয়োজন। সেকন্দর বেগমের নিৰ্ম্মিত মতিমসজিদটিও নয়নমুগ্ধকর। আমরা ভূপালের এ সমুদয় দর্শনোপযোগী স্থান সমূহ দর্শনান্তে সে দিবস রাত্ৰিতেই ভূপালনগরী পরিত্যাগ করিলাম। নৈশান্ধকারে চতুর্দিক আলোড়িত করিয়া একটা দৈত্যের ন্যায় ভীষণ গৰ্জনে বাস্পপীয় শকট আমাদিগকে বুকে করিয়া তাহার লক্ষ্যপথে ছুটিয়া চলিল। $4