পাতা:ভারত মহিলা - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবভমহিলা । ግ¢ .দখিয়াই চিনিলেন, এবং ক্ষম প্রার্থনা করিলেন । তখনও শকুন্তল বfললেন, “সে সময় আমার অদৃষ্ট আমার বিরোধী চল, নচিলে আর্য্যপুত্র এত সদয় হইয়াও এত বিকল হুইয়াছিলেন কেন ? যাহা হউক, আমার অদৃষ্ট পরিণামে স্থখদ হইবে।” রাজা যখন পুনরায় তাহার হয়ে অঙ্গুরীয়ক সংযোগ করিতে গেলেন, তখন ভীরুস্ব ভাব। শকুন্তল। কহিলেন, “আমি উহাকে বিশ্বাস করি না” এবং যখন শুনিলেন, শাপপ্রযুক্তই ৰাজা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তখন র্তাহার হর্ষের সীমা রহিল না, তাহার আনন্দ উচ্ছলিত হইয়া উঠিল । তিনি বলিলেন, “তবে আর্য্যপুত্র অকারণে ত্যাগ করেন নাই ।” আর্য্যপুত্রের নির্দোষিত। সপ্রমাণ হওয়ায় তাহার আমোদ ছইল । তাহার পর ঋষিদিগঞ্চে নমস্কার করি আর্য্যপুত্র সমভিব্যtহারে রাজধানী প্রত্যাগমন করিলেন। কালিদাসের শকুন্তল ও পাৰ্ব্বতী, ভবভূতির সীতা, বেদব্যালের সাবিত্রী প্রভূতি রমণীগণের চরিত্র পাঠ করিলেই প্রাচীনকালের চবিত্রবিষয়ে ভারতবর্ষীয় গ্রন্থকারের কতদূর উন্নতিকল্পনা করিতে পারিয়াছিলেন তাহ সম্পূর্ণরূপে অবগত হওয়া যাইবে । এই সকল রমণীই নারীকুলের রত্ন। ইহার সকলেই চিরদিন ভারতবর্ষীয়দিগের দৃষ্টাস্তস্থল হইয়া থাকিবেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিয়াছেন, সীতা পতিপরায়ণতাগুণের পরাকাষ্ঠী দেখাইয়া গিয়াছেন। সাবিত্রী, পাৰ্ব্বতী, শকুন্তল৷ প্রভূতি কামিনীরাও তাছাই করিয়াছেন । ইহাঙ্কের মানসিকবৃত্তি প্রায় সঙ্কলেরই সমান। কেবল ভিন্নরূপে প্রকাশ পাইয়াছে মাত্র। দয়া, দাক্ষিণ্য, সৌজন্ত প্রভৃতি যে সকল গু৭ স ল সময়ে