পাতা:ভারত মহিলা - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতমহিলা । “নানাগুণবিশিষ্ট বেদবিৎ সমান বর্ণের পুরুষ বর হইবে । তাহাকে যত্নপূর্বক পরীক্ষা করিতে হইবে তিনি যেন যুব ধীমান ও লোকের প্রিয় কন ।” যাজ্ঞবল্ক্যসংহিভtয় প্রসিদ্ধ টীক। মিতাক্ষরাগ্রন্থে এই বচনটার বিশিষ্টরূপ ব্যাখ্য। অাছে, যথা, “যুব,” অর্থাৎ পিতা অতীতবয়স্ক ব্যক্তিকে কস্ত সম্প্রদান করিতে পারিবেন না । “ধীমান” অর্থাৎ জডমতি বেদার্থগ্রহণে অসমর্থ ব্যক্তি বিবাহের উপযুক্ত নহে। “জনপ্রিয়” অর্থাৎ কর্কশস্বভাব ব্যক্তিকে কন্যাদান নিষিদ্ধ। এই বচন দৃষ্টে তৎকালে বরপরীক্ষার নিয়ম ছিল তাহা ও জানা যায় । যদি বর সর্বপ্রকারে শাস্ত্রসন্মত হয়, তবেই ভাঙ্গাকে কন্যাসম্প্রদান করিলে পিতার পুণ্যসঞ্চয় হইবে । মনু আরো বলিয়াrছন যদি শাস্বামুমোদিত বর না পাওয়া যায়, তবে বরং কস্ত যাবজ্জীবন পিতৃগৃহে বাস কৱিৰে, তথাপি অহুপযুক্ত বরে কস্তাদান করিবে না। ( স্ত্রীলোকদিগের প্রতি ব্যবহার ) “পিতা, মাতা, ভ্রাতা, পতি, দেবর প্রভৃতি আত্মীয় লোকে যদি ইহলোকে সম্মান ইচ্ছা করেন, তবে স্ত্রীলোকদিগকে সন্মান করিবেন, এবং তাচাদিগের বেশভূষা করাইয়া দিবেন। যেখানে স্ত্রীলোকদিগকে সম্মান গুর। হয়, সেইখানেই দেবতার সন্তুষ্ট হন । ৰেখানে স্ত্রীলোকদিগের অমৰ্য্যাদা করা হয়, তথায় সকল কৰ্ম্মই নিষ্ফল। যে কুলে স্ত্রীলোকের শোক করে, সে কুল শীঘ্ৰ নাশ পায়। যেখানে উগর সৃষ্ট থাকে, সেখানে সৰ্ব্বদাই শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। অতএব ভুক্তি ইচ্ছুক লোকের •