পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম প্রকরণ । masistemmam আখ্যান । ৪৫৩ i মনের ভাব ব্যক্ত করার জন্য যে প্রকারে শব্দ যোজনা করিতে হয় তাহ বর্ণনাকরাই আখ্যান প্রকরণের উদিশু। ৪৫৪ । দুই বা তদধিক শব্দ যথাক্রমে স্থাপিত হইয়া একটি মনোগত ভাব ব্যক্ত করিলে সেই কয়েকটি শব্দের একত্রে বাক্য সংজ্ঞা হয়। যেমন (১) আমি শুই (২) আমি কথা বলিতেছি (৩) আমি মনোযোগপূর্বক একখানা ভাল পুস্তক পড়িতেছি, ইত্যাদি। ৪৫৫ স্বত্র। প্রত্যেক বাক্যে এক একটি কর্তা এবং একটি ক্রিয়া থাকা আবখ্যক । ক্রিয়া সকৰ্ম্মক হইলে একটি কৰ্ম্মও থাকা আবশ্বক। সুতরাং একটি বাক্য সম্পূর্ণ হওয়ার জন্ত অনূ্যন দুই তিনটি শব্দ অবশুই প্রয়োজনীয়। পরস্তু দানার্থক ক্রিয়া থাকিলে সেই বাক্যে একটি কর্তা একটি সম্প্রদান একটি কৰ্ম্ম এবং একটি ক্রিয়া অবশুক। সেইরূপ দ্বিকৰ্ম্মক ক্রিয়াতে দুইটি কৰ্ম্ম প্রয়োজনীয়। সুতরাং এই দুই প্রকার বাক্যে নিতান্ত পক্ষে চারিটি করিয়া শব্দ আবশ্বক হয়। ৪৫৬ স্বত্র। যে বাক্যে ৪৫৫ স্থত্রোল্লিখিত অত্যাবগুক কয়েকটি শব্দ মাত্র থাকে তাহার নাম লঘু বাক্য । যথা ( ১ ) আমি আছি (২) তুমি পুথি পড় (৩) রাম হরিকে পুস্তক দিল ( ৪ ) হরি কেশবকে মহাভারত পড়ায়, ইত্যাদি। লঘু বাক্যের অন্তর্গত শব্দগুলির সহিত তাহাদের বিশেষণ বিশেষণীয় বিশেষণ আকস্মিক ও আসঙ্গিক শব্দ থাকিলেও তাঁহাকে লঘু বাক্যই বলে । যথা— (১) হায় ! এখন আমি কোথায় যাইব (২) তুমি পরম মুন্দর রখে আতি ব্যগ্রভাবে উঠিয়াছিলে ইত্যাদি। ৪৫৭ স্বত্র। যে বাক্যে একমাত্র মুখ্য ক্রিয় থাকে কিন্তু তৎপূর্বে এক বা ততোধিক অসমাপিকা ক্রিয় থাকে, তাঁহাকে দীর্ঘবাক্য বলা যায়। দীর্ঘবাক্যের অন্তর্গত শব্দ সমূহের সহিত বিশেষণ বিশেষণীয় বিশেষণ, আকস্মিক শব্দ ও জাসঞ্চি শৰ থাকিলেও তাঁহা দীর্ঘ বাক্যই রলিয়া গণ্য হয় । যথা তোমরা আগে গিয়া স্নান কবুত পরে অস্ত কৰ্ম্ম করিও ইত্যাদি। 疊