পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ] অত্যর সংখ্যক শব্দ অনুপ্রতি মূলক। কিন্তু তাহাও মূল শব্দ হইতে এতদূর বিকৃত যে ভিন্নভাষী লোকদের সহজে বোধগম্য হয় না। যেমন কোকিলের শব্দ শুনিয়া সংস্কৃত ভাষায় তাহার নাম কোকিল এবং ইংরাজী ভাষায় তাহার নাম কুকু রাখা হইয়াছে। তথাপি সম্পূর্ণ বিভিন্ন ভাষী লোকের, কোকিল এবং কুকু শৰু শুনিয়া তদ্বোধক বস্তু কি, তাহ বুঝিয়া উঠিতে পারে না । পরন্তু কোন ইংরাজী বিদ ব্যক্তিও কোকিল শব্দের অর্থ বুঝে না এবং কোন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ও কুকু শব্দের অর্থ বুঝিতে পারে না । এই জন্যই দেশ ভেদে ভাষার ভিন্নত হইয়াছে মানব জাতির ভাষা ঈশ্বর প্রদত্ত নহে এবং ইহার ভিন্নতাও ঈশ্বরকৃষ্ঠ নহে। মুকুষ্য জাতির উন্নতির জন্ত পরস্পরের সাহায্য গ্রহণ আবশ্বক। সেই উদ্দিশ্যে অনেক লোক একত্র থাকা এবং এক জনের মনের ভাব অন্তের নিকট প্রকাশ করিতে পারা নিতান্ত আবশুক । αμμωίππώμπαππμωακüα" ভাষার বিভিন্নতার কারণ । সেই আদিম অবস্থায় কৃষিকৰ্ম্ম ছিল না । মনুষ্যেরা স্বভাবজাত ফলমূল ও পশুমাংস ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করিত। এরূপ খাদ্য এক স্থানে বহু লোকের উপযুক্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না । সুতরাং তৎকালে বহুলোক এক স্থানে থাকিতে পারিত না । যখন কোন স্থানে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি হইত তখন কেবল বলবান ব্যক্তিরাই তথায় থাকিত, অপর দুৰ্ব্বল র্যক্তির দলে দলে অন্যত্র চলিয়া যাইত । কথন বা খাদ্য দ্রব্যের সম্পূর্ণ অভাব হওয়াতে সকলেই সেই স্থান ত্যাগ করিয়া স্ব স্ব সুবিধামত নানাদিকে প্রস্থান করিত। তৎকালে যাতায়াতের.সুবিধা ছিল না । বিশেষতঃ আহার চিন্তাতেই লোকের অধিকাংশ সময় ব্যয় হইত। এই দুই কারণে যাহারা বিভিন্ন দিকে গমন কবিত তাহায়ের পরস্পর সাক্ষাৎ বা আলাপ প্রায় থাকিত না । সুতরাং এক দলস্থ লোকে যাহা করিত তাঁহা অস্ত দলস্থ লোকে জানিত না । এবস্তৃত দল সমুদায় পুনরায় পূৰ্ব্বেক্ত কারণে নানাদলে বিভক্ত হইয়াছিল এবং তাহারাও পরস্পরের কার্কে অজ্ঞ হইয়াছিল। এই ভিন্ন ভিন্ন দল সমূহ কতক শীত মণ্ডলে কতক গ্রীষ্ম মণ্ডলে কতক সম মণ্ডলে বাস করিয়াছিল। ঋতু জল বায়ু ভেদে লোকের আচার, ব্যবহার, খাদ্য ५ीद्भर छब्रिज छिइ श्बांझिल ।