পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిఫిy বাঙ্গালী ব্যাকরণ । টীক। সমস্থ ভাষাতেই সংস্কৃত ও প্রাকৃত এই অংশ থাকে। লিখন পঠনাদি কাৰ্য্যে ব্যবহৃত পরিশুদ্ধ ভাষায় নাম সংস্কৃত, আর সাধারণ কথ্য ভাষায় নাম প্রাকৃত । হিন্দুদিগের আদি ভাষায় কোনই নাম নাই। প্রাচীন হিন্দুদের লিখন পঠনাদির জন্ত যেরূপ ভাব ছিল তাঁহাই এখন সংস্কৃত ভাষা নামে আখ্যাত হয়। এক্ষণে আমরা পুস্তকাদিতে যেরূপ সংস্কৃত ভাষা দেখিতে পাই, তাহা কখন কোন জাতির সাধারণ কথ্য ভাষা ছিল না। যে সকল লোকের সাধু ভাষা এক উহাদের মধ্যেও প্রাকৃত ভাষার প্রচুর ভিন্নতা দেখা যায়। প্রাচীর হিন্দুদের সংস্থত এক ইলেও প্রাকৃত ভাষা বিভিন্ন ছিল। কশ্বিরী, মুরসেনী, পাঞ্চালী, মাগধী, আয়োধী, মালবী, সৌরাষ্ট্রী, মহারাষ্ট্রী প্রভৃতি প্রাকৃত ভাষার উল্লেখ অতি প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থেও পাওয়া যায়। বিশেষতঃ হিন্দুদিগের মধ্যেই সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষার ভিন্নতা সৰ্ব্ব অপেক্ষ অধিক। তাহার প্রধান কারণ এই যে, হিন্দুদিগের বর্ণমালার উচ্চারণ নিত্য ; অন্যান্ত জাতির উচ্চারণ পরিবর্তনীয়। যেমন আমরা লিখিতে "করিতেছি” লিখি এবং পড়িতেও ঠিক বর্ণানুসারে উচ্চারণ করি। অথচ কথোপকথনে বাঙ্গল দেশের কোন স্থানেই "করিতেছি” বলে না । লোকে কথা সংক্ষেপ করিয়া স্থান ভেদে “কচ্চি, কচ্ছি, করতেছি, কবুতাছি।” ইত্যাদি বলে। অন্যান্য জাতির রীতি এই যে, তাহার কথায় যেরূপ বলে পড়িতেও সেইরূপ পড়ে অথচ তাহদের লিখিত শব্দের ঠিক উচ্চারণ তদ্রুপ হয় না যেমন ইংরেজীতে লিখিতে “কলোনেল" লেখে কিন্তু পড়িতে “কৰ্ণেল পড়ে। পারসীতে “সলসলহ লেখে অথচ পড়িতে “সিলসিলা পড়ে। এই দুই নিয়মের মধ্যে হিন্দুদের নিয়মই উৎকৃষ্ট । কারণ, তাহাতে পাঠের কখন কোন গোলযোগ হয় না । একপ্রকার লিখিয়া অন্ত প্রকার পঞ্জিলে সৰ্ব্বদাই পাঠের ভ্রম হইতে পারে। 聊 পরন্তু চীন ভাষায় অক্ষর নাই। এক এক শব্দের পরিবর্তে এক একটি চিন্তু ব্যবহৃত হয়। তখায় সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষায় ভিন্নতা অতি অল্প । ৪৬%স্বত্র। প্রাকৃত ভাষা গড়ের নিয়ম অনুসরণ করে। কিন্তু প্রাকৃত ভাব স্থান ভেদে এত বিভিন্ন যে তদ্বিষয়ে ব্যাকরণে স্বত্র লিখিয়া কোন ফল নাই। yem-ès-pum mm................................. পদ্য রচনা । ৪৪৯। শ্রুতিমধুর বাক্যের নাম পঙ্ক।