পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీఆ বাঙ্গালী ব্যাকরণ । দীর্ঘ ললিত । গগণে উঠিল শশী, শার্থী শাখে পিক বসি, কুহু কুহু ডাকে বাধা, মানে না গো মানে না । সে ধনী নবীন বাল, ঘটেছে নবীন জালা, বিরহ কেমন সে তো, জানে না গো জানে না । - লঘু ললিত । কটাক্ষ সন্ধানে, আপনার পানে, ওলো স্থলোচনে ! চেয়ে না লো চেয়ে না। উহার বেদনা, তুমি ত জান না, অনর্থ যাতন, পেয়ো না লো পেয়ে না। আলোচনা । ললিত বৰ্দ্ধিত আকারেই সচরাচর ব্যবহৃত হয়। বৰ্দ্ধিত না হইলে ললিতের শেষ খণ্ডে কেবল তিনটি মাত্র স্বর থাকে। যেমন- উপরি উক্ত দৃষ্টান্তদ্বয়ে চতুর্থ খণ্ডে, “মানে না” “জানে না” চেয়ে না, পেয়ে না মাত্র লিখিত থাকিলেও ঐ সকল শ্লোক ললিত মধ্যে গণ্য হইত। কিন্তু বৃদ্ধ ললিতই প্রধানতঃ ব্যবহার্য্য। উপরি লিখিত দুইটি দৃষ্টান্তেই বৃদ্ধ ললিত । ৪৯৭ স্বত্র । ললিতের প্রত্যেক খণ্ডের শেষে একটি করিয়া পদ্য মতি পড়ে এবং বৰ্দ্ধিত ললিতের সম্বোধন শব্দটির উপরেও পদ্য যতি পড়ে। টীকা ললিত ছন্দ সকল ছন্দাৎ মিষ্ট কিন্তু ঈদৃশ ছন্দের শ্লোক অতি অল্পই লেথ। যাইতে পারে। ஊக আমিতক্ষর । ৪৯৮ স্বত্র । যে পদ্যের কোন নির্দিষ্ট কোন ছন্দ নাই অথচ স্বাহী পদ্ধের ন্যায় শ্রুতি মধুর তাঁহাই অমিতাক্ষর বা অমিত্ৰাক্ষর পদ্য। আমিতাক্ষরার অস্ত্য মিল থাকে না এবং কোন চরণের মাত্রাও ঠিক থাকে না। প্রকৃত পক্ষে আমিতাক্ষরের মাত্রাই নাই। কোন চরণ ৰছ দীর্ঘ এবং কোন চরণ অতি ক্ষুদ্র হয় । আলোচনা। আমিতাক্ষর পূৰ্ব্বে বাঙ্গালায় প্রচলিত ছিল না । পরে মাই কেল মধুসূদন দত্ত অস্ত্য মিল শূন্য পয়ারকে আমিত্ৰাক্ষর ছন্দের পদ্য নাম দিয়া