পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] জন্য ইহাদিগকে নিবন্ধ শাস্ত্র বলে। ভাষার অন্যান্য সমস্ত গ্রন্থ এই তিন শাস্ত্রের লিখিত নিয়মানুসারে রচিত হয় জন্য তাহাদিগকে সাহিত্য বলা যায়। ( ১ ) অভিধান—প্রত্যেক ভাষার শব্দ সমূহের অর্থ নির্দেশ করিয়া তাহার ঐক্য'রক্ষণ করাই অভিধানের উদ্দেশ্য । { } ( ২ ) বর্ণ সমূহের আকৃতি, উচ্চারণ, যোজনার নিয়ম এবং তাঁহাদের সংযোগ দ্বারাশদ উৎপাদন এবং যথোচিত রূপে শব্দ যোজনা দ্বারা বাক্য এবং বাক্য যোগ দ্বারা আখ্যান রচনা করিবার স্বনিয়ম নির্দেশ করিয়া তদ্বিষয়ে ঐক্য রক্ষাই ব্যাকরণ শাস্ত্রের কার্য্য । (৩) অলঙ্কার-ভাষাকে মিষ্ট, গম্ভীর এবং তেজস্ব করিবার নিয়ম নির্দিষ্ট কুরাই অলঙ্কার শাস্থের কার্য্য। এ স্থলে জানা উচিত যে, কোন বাক্য দ্বারা মনের ভাব ঠিক ব্যক্ত হইলেই নিবন্ধ শাস্ত্রানুসারে তাঙ্গ সম্পূর্ণ শুদ্ধ হয় । ন্যায় শাস্ত্রের শুদ্ধাশুদ্ধির সহিত নিবন্ধ শাস্ত্রের কোন সম্বন্ধ নাই। নিতান্ত অযৌতিক বাক্য ও নিবন্ধ শাস্ত্র মতে শুদ্ধ হইতে পারে। এই গ্রন্থে কেবল ব্যাকরণ শাস্ত্রের এবং কথঞ্চিত অলঙ্কার শাস্ত্রের আলোচনা করা আবশ্বক। ব্যাকরণে নিম্ন লিখিত শব্দ সমূহ নিম্ন লিপিত অর্থে ব্যবহৃত হয়। যথা— ( ১ ) সুত্র-ব্যাকরণের প্রধান প্রধান নিয়মের নাম স্বত্র বা সাধারণ বিধি । ( ২ ) উপস্থত্র—স্বত্রের অন্তর্গত ক্ষুদ্র নিয়ম গুলির নাম উপস্থত্র বা উপবিধি । I ( ৩ ) বিশেষ স্থত্র—সাধারণ বিধির বিরুদ্ধ অথচ তদপেক্ষ অল্প প্রয়োজন সাধক সূত্রের নাম বিশেষ স্থত্র বা বর্জিত বিধি । ( s ) বিকল্প—যাহা কখন হয় কখন হয় না তাহার নাম বিকল্প। ( ৫ ) ঋষিবাক্য—ভাষার অবস্থা চিরকাল সমান থাকে না । সুতরাং ভাষার পরিবর্তন সহ ব্যাকরণ পরিবৰ্ত্তিত হয় । ভজন্ত অনেক কথা এরূপ হয় যে তাহা প্রাচীন ব্যাকরণানুসারে শুদ্ধ ছিল অথচ বর্তমান ব্যাকরণানুসারে অশুদ্ধ। এই রূপ কথা প্রাচীন মহামান্ত ব্যক্তিদের গ্রন্থে থাকিলে তাহাকে ঋষিবাক্য বা আর্ষ্য প্রয়োগ বলে। আৰ্য প্রয়োগ শুদ্ধ বলিয়া মান্ত কিন্তু বর্তমান কালে কেহ তদ্রুপ লিখিলে তাহা অশুদ্ধ বলিয়া গণ্য হয় ।