পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা বিজ্ঞান । ○ > টীকা । যেখানে ক্ষমতা বা চেষ্টা প্রকাশ পায় সেখানে পঞ্চমীর বিভক্তি যুক্ত থাকিলেও শব্দকে গৌণ বা মুখ্য কৰ্ত্ত বলিতে হইবে। তাহাকে অপাদান বলা যায় না । যথা "গোপাল স্থচিকৎ বস্ত্র বিদারণ করিল” এই বাক্যে সুচিকার বিদারণ করিবার ক্ষমতা থাকা হেতু তাহাকে গৌণ কৰ্ত্ত জানিতে হইবে। ১৩। স্বত্র। ক্রিয়ার আধারে অধিকরণ কারক হয় এবং তাহাতে সপ্তমীর বিভক্তি হয় । যথী জলে মৎস্ত আছে’ এই বাক্যে জলে শব্দ ‘আছে’ ক্রিয়ার আধার হেতু তাঁহাকে অধিকরণ কারক বলিতে হইবে । ১৩৮ সূত্র । বিশিষ্যের সুহিত অমৃত্যু বিশিষ্য, উপসর্গ বা আসঙ্গিক শব্দের সম্বন্ধ প্রকাশ হইলে প্রথম শব্দকে সম্বন্ধ উপকারক বলা যায় । সম্বন্ধে যষ্ঠির বিভক্তি হয় । যথা রামের হাত, শু্যামের প্রতি, বৃক্ষের নিকট ইত্যাদি । একই শব্দে একই সময়ে নানা অর্থে সম্বন্ধ উপকারক হয়। যথা ক্লামের ( অধিকৃত) পুথি, বিদ্যাসাগরের (তদ্রচিত ) পুথি, বড় দোকানের ( তত্র বিক্রিত ) পুথি, পরীক্ষার ( তজ্জন্ত নিষ্টি) পুথি, লাল কাগজের (তাঁহাতে লিখিত ) পুথি ইত্যাদি । ১৩৯ স্থত্র। রোদনে ও আহবানে বিশিষ্য সম্বোধন উপকারক প্রাপ্ত হয়। সম্বোধনে অষ্টমীর বিভক্তি হয়। যথা হে কৃষ্ণ, হ বিধাতঃ ! হে মাতভূর্ত ভাবিনি ! ইত্যাদি । απαπαπαπαπανα বিবক্ষ । ১৪• স্থত্র । যে কারকে যে বাচ্যে যে বিভক্তি হওয়া উচিত তাহার অন্যথার নাম বিবক্ষণ । কৰ্ত্তা, কৰ্ম্ম করণ ও সম্প্রদান কারকে বিবক্ষণ বাঙ্গলা ভাষায় প্রচলিত আছে । অন্ত কারকে বিবক্ষণ প্রচলিত নাই । যেমন কৰ্ত্তায় "আমাকে যাইতে হইবে এই বাক্যে বিবক্ষ হইয়া আমার শরে পরিবর্তে আমাকে ব্যবহৃত হইয়াছে । আমি শব্দ ভাববাচ্য ক্রিয়ার কৰ্ত্ত সুতরাং তাঁহার উত্তর ষষ্টি হওয়া উচিত। ষষ্ঠির পরিবর্তে দ্বিতীয়ার বিভক্তি যোগ হওয়াতে বিবক্ষণ দোষ হইয়াছে। টল্পণী। যে সকল বিবক্ষ সৰ্ব্বত্র প্রচলিত তাহ লিখিলে নিন্দ নাই বটে কিন্তু যথাসাধ্য পরিবর্জনীয়। বিৰক্ষণ পষ্ঠেই অধিক প্রচলিত ।