পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১২৭

মার্চ, ১৯০৯ ] মহামহোপ רגל মোকৰ্দমা মামলা পরিচালনে তাহার অসামান্য শক্তি ছিল । হাইকোর্টের জটিল মোকৰ্দমাতেও অনেক সময় উকীল ও ব্যারিষ্টার প্রভৃতি না রাখিয়া স্বয়ংই আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়াছিলেন । তিনি উৎকৃষ্ট কবি, ' বৈয়াকরণ ও আলঙ্কারিক ছিলেন ; স্মৃতিশাস্ত্রে তাহার যথেষ্ট অধিকার ছিল । তাহার স্মরণশক্তি অসাধারণ ছিল ; যে রোগীকে একবার চিকিৎসা করিয়াছেন, বিশ বৎসর পরে দেখিলেও তাহাকে চিনিতে পারি তেন । উপনিষদ প্রভৃতি তিনি স্বয়ং হাতে লিখিয়া পাঠ করিয়াছিলেন । একই সময়ে তিনি রোগীর নাড়ী দেখিতেন, কাহারও ঔষধের ব্যবস্থা করিতেন, কাহাকেও বা । উপদেশ দিতেন। পরোপকার তাহার জীবনের সৰ্ব্ব প্রধান ব্ৰত । স্বদেশের রাষ্ট্রনৈতিক অলোচনায় দ্বারকানাথ বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্ৰীয় মহাসভায় (কংগ্রেসের কলি১. কাতাস্থ প্রায় সকল অধিবেশনেই ) তিনি সভ্য অথৰা অভ্যর্থনা সমিতির সভ্যরূপে উপস্থিত থাকিতেন। স্বদেশীগ্রহণ ও বিদেশী বর্জনে র্তাহার ঐকাস্তিক যত্ব ছিল । প্রায় আট মাস পূৰ্ব্বে মহামহোপাধ্যায় দ্বারকানাথের একটু সামান্ত জর ও পেটের अन्नथ श्ब्र। डांशं कभनं: बुकि श्रृंॉऐब्रां ॐनद्रরোগে পরিণত হয়। গত ভাদ্র মাসে ৮ কাশীধামে যাইয়া কতকটা সুস্থ হইয়াছিলেন । গত ১৬ই মাঘ কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন । তাহার পর হইতে রোগ ভয়ানক বাড়িয়া যায়। এই রোগেই গত ২৯শে মাৰ বৃহস্পতিবার রাত্রি দশটার সময়ে সজ্ঞানে । দেহত্যাগ করেন।” গরীব ডাক্তারদিগের অসুখ হইলে কলিকাতা সহরে চিকিৎসিত হওয়া বড়ই কঠিন কাৰ্য্য । খ্যাতনামা ডাক্তারগণ ঐরুপ চিকিৎসকের চিকিৎস। কার্য্যে আহবান করিলে তাহারা দর্শনী গ্রহণ করেন না । অথচ *সময় নাই” আপত্তি উপস্থিত করিয়া দেখি । তেও আইসেন না । এই জন্ত অনেক গরীব ডাক্তার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুমুখে পতিত হন । ৮ দ্বারকানাথ কবিরাজ মহাশয়ের এই দোষ ছিল না । তিনি বিশেষ যত্নসহকারে এইরূপ রোগীর চিকিৎসা কার্য্যে ব্রতী হইতেন । একবার ডাকিলে যতবার আীৰশুক ততবার আসিতেন । অথচ দর্শনী বা ঔষধের মূল্য কিছুই গ্রহণ করিতেন না। তিনি গরীব ডাক্তারদিগের বিশেষ উপকারী ৰন্ধু । ছিলেন ।