পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\9 & প্রশ্রয় লাভ করে ; এবং সাধারণ-শিক্ষাদ্বারা জ্ঞান প্রাপ্ত, সম্পূর্ণ চিকিৎসাশাস্ত্রানভিজ্ঞ, বিদানেরাও মুখোচিত দম্ভত প্রকাশে আদৌ কুষ্ঠিত হন না ! শিক্ষার বহুল বিস্তারের সহিত, কতকগুলি নিঃসার, কতকগুলি ভ্ৰমাত্মক, কতকগুলি তদপেক্ষাও ঘূণ্য জঘন্ত পুস্তকের প্রচার হইয়াছে ; তাবৎ জনসাধারণে ঐ সকল জঘন্ত পুস্তক পাঠে নিজেদের তাবৎ চিকিৎসাশাস্ত্রের গুঢ় মৰ্ম্ম উদঘাটনে সম্পূর্ণ অধিকারী বিবেচনা করিয়া থাকেন । যদি কোনও শাস্ত্রে “স্বল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী" হয় তবে চিকিৎসা শাস্ত্রে তাহাই ; যে দেশের মনীষি গণ দর্শন, বিজ্ঞান, অঙ্ক, জ্যোতিষ প্রভূতি শাস্ত্রের আলোচনায় এখনো জগতের চিন্তারাজ্যে একচ্ছত্র সম্রাট, সেই দেশেরই মনীষিগণে যুগযুগান্তর চিকিৎসাতত্ত্ব চিন্তা করিয়াও কবি গেটের মত বলিয়া গিয়াছেন— “Where shall I grasp thee infinite সেই অগাধ বিদ্যার সমুদ্র ( যাহাকে তাহারা বেদে উয়মিত করিয়া গিয়াছেন ) এখন ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র মনুষ্য আমরা করতলস্থ আমলক ফলের ভায় প্রত্যক্ষ করিতেছি ! এ অঙ্গয় স্পৰ্দ্ধা ক্ষুদ্র মনুষ্যে ভাল দেখায় না ! এক্ষণে কুসংস্কার গুলি সম্বন্ধে বলিব — (১) কোনও ব্যাধি কোনও দেব দেবীর *অনুগ্রহে” হয় না ; দেব দেবী প্রাকৃতিক Nature,—oh where ?” কিন্তু নিয়ম ইচ্ছা করিলেই লঙ্ঘন করিতে পারেন, ন ; যদি পারেন তলে তাহদের দেবত্ব কোথায় রহিল ? আরো এক কথা ; দেবত্ত্বের সহিত ক্রোধাদির সমন্বয় অসঙ্গত । এই জন্য, ইচ্ছা বসন্ত হইলে, পূজা দিতে আপত্তি না ভিষক-দৰ্প । [ মে, ১৯০৯ থাকিলেও, ‘মায়ের অনুগ্রহ’ হইয়াছে বলিয়৷ “কোনও ঔষধ দিতে নাই,” এই বাতুল সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার কোনও ভিত্তি নাই। অদৃষ্টবাদীদের বুঝান বড়ই শক্ত কথা কিন্তু এই পৰ্য্যস্ত সামান্ত বুদ্ধিতে ও বুঝা যায় যে, ভগবান মনুষ্যকে বিবেকী করিয়াছেন ; সেই বিবেককে ভয়াকুল কুসংস্কারে সমাচ্ছন্ন ক রিয়া পরে অদৃষ্ঠের দোহাই দেওয়া নিতান্ত অবিবেকীর কার্য্য । o (২) আমাদের দেশে প্রায় সকলেই চিকিৎসাশাস্ত্রপারদর্শী, অথচ আমাদের দেশের মৃত্যু সংখ্যা বোধ হয় সকল সভ্যদেশ অপেক্ষ বেশী, এবং বোধ হয় আমাদের দেশে ব্যাধি জর্জরিত জীবন্মতের সংখ্যাও সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক । এই আত্মম্ভরী তাই আমাদের সর্বনাশের মূল। সাধারণে (মুখ কি পণ্ডিত, তিনি যেই ইউন না কেন ) আপনার স্বেচ্ছায়, কারণে, অকারণে, চিকিৎসক হইতে চিকিৎসকাস্তর আহবান করেন, চিকিৎসা প্রথা হইতে fচকিৎসা প্রথাস্তরের অবতারণা করেন । র্তাহাদের কোন জ্ঞানের বা যুক্তির বশে, র্তাহারা এই রূপ করেন, তাহা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির অগোচর। ইচ্ছা বসন্ত এক অসামান্ত ব্যাধি ; এ যাবত ঠহ মানব চেষ্টাকে পরাভূত করিয়াছে ; অতএব, যে ব্যাধিকে স্বয়ং চিকিৎসকই ভয় করেন সেই ব্যাধি সম্বন্ধে চিকিৎসানভিজ্ঞ জনসাধারণে কোন সাহসে মতামত প্রকাশ করেন, তাহা অামার বলিবার সাধ্য নাই । (৩) ফুসফুস-প্রদাহ যেমন একটী স্বতঃসীমাবদ্ধকারী ব্যাধি, বসন্তও ঠিক তাহাঙ্গ ;–ফুসফুস প্রদাহ । ব্যাধিতে ততীয়,