পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ ভিষক-দৰ্পণ। s মে, ১৯০৯ সাওতাল, গারে, কুকিগণের অপেক্ষাও অজ্ঞ ; তাহারা বসন্তের চিকিৎসা সম্বন্ধে “কী’ব। অর্থ পুস্তকগত-জ্ঞানে-বলীয়ান বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রের মত, তাহারা আত্মাভিমানে দুর্য্যোধনের পিতামহ । তাহারা কোনও ঔষধের ব্যবহার জানিতে পারেন বটে কিন্তু সেই ঔষধের কুফল কি, তাহারা কখনো জানেন না । ইংরাজীতে একটি প্রবাদ বচন আছে Fortune favours fools; softwa Hwois সেই কথা সম্পূর্ণ খাটে । এক্ষণে জিজ্ঞাস্য হইতেছে, শীতলার বাহ্মণদের হস্তে, অন্তান্ত চিকিৎসক অপেক্ষা অধিকাংশ বসন্তরোগী জারোগ্য লাভ করে, ইহার কোনও প্রমাণ আছে কি না ? যদি কেহ যথার্থ প্রমাণ দিতে পারেন তবে তিনি এখনিই দিন, আমরা তাহাকে শিরোধার্য্য করিয়া লইব । কিন্তু আমরা অসংখ্য প্রমাণ দিতে পারি যে শীতলার ব্রাহ্মণের হস্তে বসন্ত রোগীর গুটিকা আরাম হইয়া গিয়াছে বা আরম্ভ হইয়াছে এমন অবস্থায় ফুসফুস প্রদাহ, রক্তস্ৰাব প্রভৃ 'கு উপসর্গে রোগী মারা গিয়াছে, যাহা শীতলার ব্রাহ্মণের বুঝিবার কোন জ্ঞান নাই, যাঙ্গ বুঝিলেও তাহার চিকিৎসা করিবার অধিকার নাই, এবং যাথাকে তাচ্ছিল্য করিয়া ‘‘মায়ের অনুগ্রহের উপর আস্থা রাখ” প্রভৃতি স্তোকৰ ক্যে আশ্বস্ত করিয়া তাহারা যথাযথ চিকিৎসিত হইতে পর্যন্ত দেয় নাই ! (৪) কন্টিকারী বা নিমবৃক্ষের পল্লব গৃহে রাগিলে, বসন্ত হয় না, এষ্টটিও একটি ভ্ৰমাত্মক ধারণ । ' (e) চীকে (বা গো বসন্ত বীজদ্বার বিষাক্ত হওয়া ), জীবনে একবার লষ্টলেই যথেষ্ট হয় না । যাহার টীকায় বিশ্বাস করেন র্তাহীদের উহা প্রায় প্রতি বৎসরেই লওয়া উচিত । যাহাদের “বাঙ্গালী টীকা’’ ( বা যথার্থ ইচ্ছাবসন্তের বীজদ্বারা টাকা ) হইয়াছে র্তাহাদের বটে বসন্ত দ্বারা আক্রান্ত হইবার আশঙ্কা কম । প্রকৃতপক্ষে, কোনও ব্যাধির বিষ একবার রক্তে প্রবিষ্ট হইলে জীবনে দ্বিতীয়বার সেই ব্যাধির বিষদ্বারা আক্রান্ত হইবার আশঙ্কা কম ; যেমন বসন্ত, উপদংশ প্রভৃতি একবার হইয়া গেলে, দ্বিতীয়বার ঐ বিষের দ্বারা বিষাক্ত হয় না । কিন্তু এই গুলি সাধারণ নিয়ম হইলেও, সকল সময়ে ইহার খাটে না । কেন খাটে না, তাহার যথেষ্ট ব্যাখ্যা মংগ্ৰেণীত “অপসোনিন” ও “চিকিৎসার মূলতত্ত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধে দেওয়া গিয়াছে, পাঠক মহাশয়েরা অনুগ্রহ করিয়া দেখিয়া লইবেন । টীকার বিস্তর নিন্দাকারী আছেন কিন্তু সে নিন্দ ঈর্ষ প্রস্থত, তাহার মুলে যুক্তি, প্রমাণ বা বিদ্যাবত্তার পরিচয় আদেী নাই । আমি টাকার বিরুদ্ধমত বলম্বী নহি টীকা সম্পূর্ণ ফিজিওলজী-সন্মত ; এক ব্যাপির জন্ত টাকা লইলে, অপর সকল প্রকার সংক্রামক ব্যাধি নিবারিত হয়, আমার এরূপ বিশ্বাসেরও যথেষ্ট কারণ আছে । এমত স্থলে কতকগুলি শুষ্ক অর্থহীন সংখ্যা তালিকার ( Statistics ) উপরে নির্ভর করিয়া অথবা প্ৰগলভ বাক্য শ্রবণে আমি টীকার বিরুদ্ধে কথা বলিতে পারি না । আমাকে যে কেহ বুৰাষ্টয়া দিতে পারিবেন, আমি তাহারই কথায় বুৰিব ; আমি স্বধু বাক্যজাল বা নিরর্থক তালিকার দাস হইতে छाहि मां ।। ७द९ थांबउ छैौकांब्र विक्रकभष्ठ