পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১৮৬

سbوا\ھ" ভিষকৃ-দর্পণ i [ (డా, సె అని ജ=ജ এই গেল রোগের স্বত্রপাতের সময়ের চিকিৎসা । রোগের বিকাশের সময়ে কি কৰ্ত্তব্য ? তখন হইতে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, যাহাতে কোনও উপসর্গ রোগীকে বিপন্ন না করে, কোন কষ্ট রোগীকে ক্লেশ না দেয়। ষাৰতীয় উপসর্গের মধ্যে এই গুলিই প্রধান ; (১) শরীরাভ্যন্তরীণ যন্ত্রসমূহে রক্তা ধিক্য (২) শ্বাসরোধ (৩) আহার্য্য গলাধঃকরণে অক্ষমতা । ইচ্ছাবসন্তে জর অনেক দিন বেশী থাকে, জর ৰেশী থাকিলে আভ্যন্তরীণ যন্ত্রসমূহে রক্তাধিক্য হইয়াই থাকে ; ইচ্ছ বসন্তে ত্বকের কার্য্য একপ্রকার বদ্ধ হইয়া যায় ; জ্বকের সহিত বৃক্কক ও অন্ত্রের কার্য্য স্বত্রে সম্বন্ধ বড় ঘনিষ্ঠ বিধায় এতদুভয় যন্ত্রে রক্তাধিক্য হইয়া থাকে ; বৃক্ককে রক্তাধিক্য হওয়া চিস্তার কথা । মস্তিষ্কে এবং ফুসফুসেও রক্তা | ধিক্য কম দুশ্চিন্তার কথা নয়। এই তিনটী যন্ত্রকেই আমাদিগের দৃষ্টিপথে রাখা কৰ্ত্তব্য। কি করিয়া আমরা তাহা করিতে পারি ? মস্তকে বরফ দিলে মস্তিষ্ক শীতল হয় । গাত্র ধোত (sponging)করাইলে বৃক্ককে রক্তাধিক্য হয় না, রোগীক মুহুমুহু পাশ্বপরিবর্তন করাইলে রোগীর ফুসফুসে রক্তাধিক্য হইবার আশঙ্কা কম থাকে . কিন্তু জরে কি মুধু রক্তাধিক্যই হইয়া থাকে ? তাহা নহে । জরে হৃৎপিণ্ড সহজেই ক্ষীণ হইয়া পড়ে, জরে শরীরে বিষের সঞ্চয় হয় ; এতদুভয়েরও উপায় করা কৰ্ত্তব্য । বসন্তব্যাধির বিষ হৃৎপিণ্ডের পক্ষে দারুণ তীব্র ; এই জন্ত এই রোগে হৃৎপিণ্ডের বলাধান করে এমন ঔষধি ব্যবহার করা কৰ্ত্তব্য । (ক্রমশঃ) শিশুর খাদ্য এবং পরিপাক যন্ত্রের ক্রিয়া সম্বন্ধে কয়েকটি কথা । লেখক—শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার চারুচন্দ্র বস্থ, বি, এ, এম, বি । শৈশবাবস্থা —শৈশবাবস্থায় আমাদের পরিপাক যন্ত্র সকল সম্যক পরিপুষ্টি লাভ করে না এবং সামান্য কারণে ইহাদের ক্রিয়ার | এক্ষণে দেখা যাউক শৈশব । বৈলক্ষণ্য ঘটে । কতকাল স্থায়ী ? কেহ বলে—প্রথম মোলারের উগম পর্যন্ত, কেহ বা বলেন যত দিন শিশু তরল পদার্থ খায় সেই পৰ্য্যস্ত, কেহ ৰ৷ বলেন—পূর্ণ ১ বৎসর পর্য্যস্ত। কিন্তু দেখা যায় যে, পূর্ণ দুই বৎসরের পূৰ্ব্বে শিশু সকল প্রকার খাদ্য পরিপাক করিতে পারে ন এবং সেই জন্য ৩ বৎসরের প্রারম্ভ পৰ্য্যস্ত শৈশবাবস্থা বলা যাইতে পারে। শৈশবের খাদ্য —ম্বন্ধই শৈশবের প্রধান খাদ্য । মাতৃস্তন-দুগ্ধ ব্যতীত গো, ছাগ প্রভৃতির দুগ্ধ প্রচুর পরিমাণে এইজন্ত ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অধিক দিন পর্য্যন্ত স্বধু দুধের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। কারণ, দুধের মধ্যে অনেক অত্যাবগু কীয় দ্রব্যের অভাব আছে, তন্মধ্যে লৌহ একটি প্রধান পদার্থ। পরীক্ষা দ্বারা দেখা গিয়াছে যে, সদ্যঃ প্রস্বত