পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ساوالا ভিকার্পণ। هه هو ,ca ] ১৯০৮ সালে সমগ্র বঙ্গদেশে ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৭১৬টি শিশুসন্তান জন্মগ্রহণ করে। যে দেশের মোট লোক সংখ্যা পাচকোট, সে দেশে এক বৎসরে কুড়ি লক্ষেরও কম শিশুসস্তান জন্ম গ্রহণ করিলে বুঝিতে হইবে, সে দেশের ও তদেশ-বাসী নরনারীর উৎপাদিকা শক্তিই আতশয় হ্রাস পাইয়াছে। জাতির মধ্যে কোন একটা ছুরারোগ্য” রোগ জাপ্য ভাবে বিদ্যমান waাকিলেই এমন দুর্দশ ঘটয়া থাকে। ম্যালেরিয়া জরই বাঙ্গালার জাপ্য রোগ ; ম্যালেরিয়ার প্রভাবেই বাঙ্গালীর মনুষ্যত্ব ও পুরুষত্ব দুই নষ্ট হইয়া যাইতেছে । এই বিষয়ের স্থালোচনা করিবার পূৰ্ব্বে বৎসরে কত লোক মরে, তাহার হিসাবট দিব ! গত বর্ষে (১৯০৮ খৃঃ অঃ) বঙ্গদেশে নানা রোগে এবং নানা ভাবে ১৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫১৩ নরনারী লোকান্তর গমন করিয়াছে । কাজেই বলিতে হয় যে, 'বঙ্গদেশে জন্ম সংখ্যা অপেক্ষ মৃত্যু ংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯৭ অধিক । জাতির স্থিতি ও বিস্তৃতি পক্ষে ইহা অপেক্ষা শোচনীয় অবস্থা আর হইতে পারে না । যে সকল রোগে অত্যধিক লোক মুরিয়াছে, এইবার সেই সকল রাগের अिछिम्न लिद । (5) বিসূচিকা বা ওলাউঠা —এই রোগেই,গত বৎসরে সর্বাপেক্ষ অধিক লোক মরিয়াছে । বাঙ্গালার প্রায় সকল বিভাগে সকল জেলায়, সকল থানায় এই রোগের প্রাস্তুভাব হইয়াছিল। এই রেগে মোটের উপর ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ১০৮ নরনারী শমনসদনে প্রেরিত হয় । সমগ্র বঙ্গদেশের মধ্যে কেবল ছয়টি থানায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব হয় নাই। গবর্ণমেণ্টকে স্বীকার করিতে হইয়াছে যে সুপেয় পানীয় জলের অত্যন্ত অভাব হওয়াতেই ওলাউঠা রোগের এত অধিক প্রাদুর্ভাব হইয়াছিল। ষে দেশে দশহাত মাটি খুড়িলে স্বচ্ছ জল পাওয়া যায়, যে দেশের সকল জেলায়, প্রায় সকল থানায় একটা না একটা নদী প্রবাহিত আছে, সে দেশে সুপেয় পানীয় জলের অভাবে প্রায় তিন লক্ষ নরনারী বিস্তুচিকায় মারা যায়—এমন কথা মুখ ফুটিয়া বলিতে গবৰ্ণমেণ্টেরও লজ্জা বোধ হয় না, আমাদেরও মরমে মরিতে হয় না ! পৃথিবীর সকল দেশের চিকিৎসকগণ একবাক্যে স্বীকার করেন যে, পানীয় জলের পবিত্রত রক্ষা করিতে পারিলে ওলাউঠার প্রকোপ একেবারেই কমিয়া যায় । আমাদের সুসভ্য গবর্ণমেণ্ট একথা স্বীকার করেন, আমরাও এ কথা জানি,—অথচ এই রোগেই অামাদের দেশে অত্যধিক লোক কালগ্রাসে পতিত হয় ! কিমাশ্চৰ্য্য মত; পরম্ । (২) বসন্ত রোগঃ—এই রোগে গত বৎসর মোটের উপর ৩৫ হাজার ৯৬৬ জন দেহত্যাগ করে । গবর্ণমেণ্ট স্বীকার করিয়াছেন যে, এই রোগের বৃদ্ধি ও বিস্তৃতি ঘূটিতেছে । মধ্যে যেমন এই রোগের প্রকোপ কমিয়া গিয়াছিল, এখন ঠিক তাহার ৰিপীত अदह घफ़ेिब्रां८छ् । अथ5 हे९ब्रांछौ छैौक দেওয়ার পদ্ধতি খুৰ বাড়িয়াই যাইতেছে। এক কলিকাতা নগরে বসন্ত রোগের অতি