পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२b” ভিষক-দৰ্পণ । [ জুন, ১৯০৯ বহির্গত হয় না, শুষ্ক মরা চামড়া উঠিতে থাকে, কোন কোন স্থলে পীড়িত স্থান ফাটিয়া যায় । এই প্রকৃতির একজেমাকে বাঙ্গালায় বিখাজ বলে এবং ইহা অারোগ্য করা অত্যন্ত কষ্ট এবং সময়সাধ্য। অন্ত কোন প্রকৃতির একজেমা বিখাজ নামে উক্ত হয় না । এই প্রকৃতির একজেমার চিকিৎসায় এদেশে আলকাতরা প্রয়োগ বহুকাল যাবৎ প্রচলিত আছে। সে চিকিৎসা প্রণালীও অতি সহজ—বাজারে যে অপরিস্কার আলকাতরা বিক্রয় হয় তাহাই পীড়িত স্থান পরিষ্কার করিয়া, তদুপরি প্রয়োগ করতঃ কদম পাতা | স্বাঃ! আবৃত করিয়া কয়েক দিবস বঁাধিয়া রাখিতে হয়। তাহা খুলিয়া পুনরায় ঐ প্রণালীতেই ঔষধ প্রয়োগ করিতে হয় । এইরূপ কয়েকবার ঔষধ প্রয়োগ করিলেই একজেম श्रां८द्रां★ां7 झग्न ! এদেশীয় উক্ত প্রচলিত নিয়মে চিকিৎসা করিয়া কয়েকজনকে আরোগ্য হইতে দেখিয়াছি । বাঙ্গালা দেশের কোন কোন স্থানে বিখাজকে কাউর ঘা বলে, কাউর ঘা দুই প্রকার—শুষ্ক এবং রসম্রাবযুক্ত । উল্লিখিত অপরিস্কার আলকাতরা দ্বারা একজামার চিকিৎসা প্রণালী এক্ষণে বিজ্ঞানের ভিত্তির উপর সংস্থাপন করিয়া সাহেব ডাক্তারগণ একজেমার চিকিৎসা আরম্ভ করিয়াছেন। সাহেবদের দেশেও ঐরূপ চিকিৎসা প্রণালী প্রাচীন, তবে আলকাতরা তরল *করিয়া প্রয়োগ করা হইত। এক্ষণে আর डद्रक कद्र! झग्र नl | ষে স্থানে আলকাতর প্রয়োগ করিতে হইবে, সেই স্থান যতদূর সম্ভব পরিষ্কার করিয়া লইতে হয়। যে সমস্ত একজেমার শ্রাব নির্গত হয়, স্রাব শুষ্ক হইলে তথায় চটা পড়ে, অথবা ত্বকে প্রদাহ থাকে, পুত্ব পরিপূর্ণ দানা থাকে, সেই স্থলে দুই দিবস কাল আর্ক্সকারক ঔষধ বা জল দ্বারা তাহা পরিস্কার করিয়া লইতে হয়, পীড়িত স্থান পরিষ্কার না হওয়া পৰ্য্যন্ত উক্ত ঔষধ প্রয়োগ করা অকৰ্ত্তব্য । পুত্বপূর্ণ দান হইতে যদি পূয় বহির্গত না হয় তাহা হইলে তাহা কাটিয়া দেওয়া আবশ্যক। কাটিয়া দেওয়ার পর নাইটেট অফ সিলভার দ্রব প্রয়োগ করিতে হয়, এইরূপে একজেমার উপরের সমস্ত ময়ল উঠিয়া গেলে তাহ গরম জল, বা সাবান জল দ্বারা পুনৰ্ব্বার পরিষ্কার করিয়া লইতে হয়, তুলা ইথরসিক্ত করিয়া তত্ত্বারাও পরিষ্কার করা যাইতে পারে। পরিষ্কার হইলে তদুপরি বাজারে প্রাপ্ত অপরিস্কার আলকাতরা স্থল করিয়া প্রলেপ দিয়া শুষ্ক হইতে দেওয়া আবখ্যক । ইহা শুষ্ক হইতে অtধ ঘণ্টা হইতে কয়েক ঘণ্টা কাল সময় আবগু ক যত অধিক সময় আবশুক হয় ততই ভাল । শুষ্ক হইলে তদুপরি টলক চূর্ণ ছড়াইয়া দিয়া বস্ত্র দ্বারা বাধিয়া কয়েক দিবস তদবস্থায় রাখিতে হয়। ত্বকে অধিক প্রদাহ না থাকিলে কিম্বা অত্যধিক শ্রাব না থাকিলে দুই দিবস অনায়াসে অব্যাহত ভাবে রাখা যাইতে পারে, তৃতীয় হইতে ষষ্ঠ দিবসের মধ্যে পুনৰ্ব্বার পূৰ্ব্ববৎ ঔষধ প্রয়োগ করা আবশুক। এই রূপে কয়েকবার ঔষধ প্রয়োগ করিলে তবে পীড়া আরোগ্য হয় । প্রথমবার ঔষধ প্রয়োগ করার পরে যদি দেখা যায় যে, ত্বকে প্রদাহ প্রবল হইয়াছে,