পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলাই, ১৯০৯ ] ভারতীয় ভিষক মহামণ্ডলী । ૨8 જ অতিক্ষুদ্র একটা মন্দির অতি অন্ধকারময়, একটা দ্বীপ জলিতেছে ; মঞ্চে ত্রিমূৰ্ত্তি। ভিতর হইতে আগুন বাহির হইতেছে ; বায়ুর একেবারে গতি রহিত । জিজ্ঞাসায় জানিলাম এ পর্য্যস্ত কেহ মন্দির মধ্যে মুছা যান নাই বা শ্বাস রুদ্ধ হইয়া মরেন নাহ । কলিকা ওরি কৃষ্ণ গহবরে তবে কেন মহাবিপদ হইয়াছিল । পথে আমার শ্বাসরোধ হইবার উপক্রম হইয়াছিল, মন্দিরে নামিয়া সে ভাবটা কিছু দূর হইল। কিন্তু বিশেষ বিলম্ব না করিয়া দ্রুতপদে সিড়ি ও সুড়ঙ্গ অতিক্রম করিয়া বাহিরে আসিলাম। বাস্তৰিক দেবস্থানে । যাইবার প্রশস্ত রাজপথ নাই । আমি গিরিডি ও অরোরা কয়লার খনিতে নামিয়াছি, সুড়ঙ্গ পথে বেড়াইয়াছি, প্রয়াগের অক্ষয় বট দর্শন করিয়াছি, চন্দ্রনাথের পর্বতে স্বয়স্তু নাথের মন্দিরে প্রবেশ করিয়াছি ; বুৰিলাম--মনেই মানুষকে কাপুরুষ করে ; গোদাবরীর তটস্থিত এইগুলি পঞ্চবটীর তীর্থ। পঞ্চবটী দেখিয়া আমরা তপোবন দেখিতে ইয়া তপস্তা করিতেছেন। সন্মুখে দুইএকটা পাকা বাড়ী ও মন্দির, বসিবার আটচালা, উঠানে একটি জন্ম খোড়া গরু বাধা রহিয়াছে। পথে অনেক যাত্রী দেখিলাম—যাইতেছেন ও আসিতেছেন ; ইহারা অনেক দূর হইতে তীর্থে আসিয়াছেন । রাস্তায় কয়েকটা সন্ন্যাসী ভিক্ষুক দেখিলাম, ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, মাথায় লম্বিত জটা, হাতে বড় বড় কৃষ্ণপাত্র মূৰ্ত্তি দেখিলে ভয় হয় । এ অঞ্চলে দমাবৃত্তি অনেকেই করিয়া থাকেন, পথ, ঘাট একবাবে নিরাপদ নহে ; অনেক নামিয়া নদীর গর্ভে উপস্থিত হইলাম, প্রকাও প্রকাও কাল পাথর গর্ভে প্রোথিত রহিয়াছে। এখানে একটু ওখানে একটু গৰ্ত্তে গৰ্ত্তে জল দাড়াইয়াছে, স্রোত আছে বলিয়া বোধ হয় না ; পা না ভিজাইয়া এপার, ওপার বেশ যাওয়া যায় । স্রোত যে আছে তাহার প্রমাণ, এক গৰ্ত্তে একখান ময়দা পেষ যা তা শ্ৰোতবলে ঘুরিতেছে। একখানা পাথরের উপর একটী ছোট মন্দির, তাহার ভিতরে চলিলাম ; দুই তিন মাইল মাঠের উপর | ছোট একটা লক্ষ্মণ ধেবড়ী স্বৰ্পণখা—নাক দিয়া চলিলাম, গাড়ী আর যায় না ; উতরিয়া নামিতে লাগিলুম। পঞ্চবটীতে একটাও গাছ দেখি নাই, এখানে বড় বড় গাছ, স্থানে স্থানে ৰোপ ; অতি মৃদু মন্দ গতিতে একট জলস্রোত চলিতেছে ; স্বৰ্য্য অস্তপ্রায়, আর সে তাপ নাই ; গোধূলির ছায়ার সব ঢাকিয়া আসিতেছে, প্রথমেই একটা প্রকাও প্রাচীর ৰেষ্টিত দেবস্থান ; একটী কুয়া তাহার পাশ্ব দিয়া জলনালী বহিয়া যাইতেছে, কিছু দূরে একটা প্রকাও বটগাছ, তার স্কন্ধদেশে একটা ক্ষুদ্র মন্দির, তার মধ্যে লক্ষ্মণ দাড়া নহে ; লম্বা চওড়া জিহব ছেদন করিতেছেন । এখানে ওখানে অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকুণ্ড ; একটা একটী পুজারী বিগ্রহও ফুল লইয়া বসিয়াছেন, যাত্রীদিগের নিকট হইতে দান ভিক্ষা করিতেছেন ; আমরাও দুএকটা পয়সা দিলাম। দুইধারে নদীর উচ্চ পাড়, সব প্রস্তরময়, বৃক্ষশূন্ত, কেবল একদিকের পাড়ে বনের একাংশ রহিয়াছে বলিয়া বোধ হয়। এক সময় এখানে গভীর অরণ্য ছিল বলিয়া বোধ হয় ; কিন্তু যে পরম রমণীয় ছায় চিত্র দেখে অতি উৎফুল্ল হৃদয়ে প্রকুত रे