পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चूल३ि, సి 6 సె J হয় । সমুদ্রপ্রায় মূত্ররাশি একেবারে দূর করা কখনই ত সম্ভব নহে, ইহার অধিকাংশই যে দ্বীপের আয়তন বুদ্ধি করিতেছে ও সমুদ্রের গভীরতা বৃদ্ধি করিতেছে, তাহা সত্য। বম্বের মৃত্তিক এবং বন্ধের জল যেমন দূষিত, বম্বের বায়,ও যে সেইরূপ ঘন দোষে দূষিত তাহ সহজেই বোধ হইবে । এই পাহাড়ের বাড়ীগুলির প্রত্যেক প্রকোষ্ঠই এক একটী অন্ধকৃপ, শুনিলাম এক একটা ঘরের ভাড়া মাসে ৮১০ টাকা ; আট দশটী লোক এক এক পকোষ্ঠে বাস করে, তাহা ছাড়া বায়ু, ও স্বৰ্য্যরশ্মি প্রবেশের পথ অতি সঙ্কীর্ণ ও অতি অল্প । সকল বাড়ীর নীচেই প্রায় দোকান ঘর, নানা সামগ্রীতে আকণ্ঠপুর্ণ। অনেক বাটীর নীচে গোশাল, অশ্বশীল । বাড়ীগুলি সব গায়ে গায়ে লাগা ! বাগান থাকা ত দুরের কথা, সামান্ত মাত্র প্রাঙ্গণও নাই। আমি যে বাটতে উঠিয়াছিলাম—সেটা একট উৎকৃষ্ট, পাকা চক্‌মিলান বাড়ী ; চারিতলা উচ, তার প্রাঙ্গণ টুকু ১৮ x ১৬ হাত লম্বা চওড়া, উপর থেকে দেখিলে একটা চতুষ্কোণ গভীর কূপ বলিরা বোধ হয় । রাস্তায় লোকে লোকারণ্য। রাস্তাগুলি বিশেষ অপ্রশস্ত না হইলেও, দুই ধারে অতি উচ্চ বাড়ীগুলি থাকাতে দুই প্রহরের সময়ই মাত্র স্বৰ্য্যের মুখ দেখা যায় ; বায়ুর পথ একেবারেই বদ্ধ, বাটীর উপর হইতে দেখিলে রাস্তাগুলি গভীর নর্দামার মত দেখায়। এই সব দেখিতে দেখিতে সাতটা আটটার সময় আমার গাড়িওয়াল আমায় একটী হোটেলে লইয়া আসিল—“হরনবিরো”একটা অতি সুন্দর ভারতীয় ভিষক মহামণ্ডলী । এই পৰ্ব্বতপ্রমাণ মলরাশি এবং । ২৫৩ ও প্রশস্ত রাস্ত, বম্বে দুর্গের অন্তর্গত । দুর্গের কোন চিকু কোথাও নাই ; কোন সময়ে ছিল ;–দুর্গ বলিয়া যে স্থান অভিহিত হয়— তার মধ্যেই বন্ধের যাবতীয় রম্য স্থান । এখানে যাবতীয় রাজকাৰ্য্যের বাটী, রাজকৰ্ম্মচারীদিগের বাসবাটী, বড় বড় বিদ্যা-মন্দির ; বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্তকাগার, বিশ্বপরীক্ষালয়, । হোয়াইটু য়াওয়ে, থ্যাকার, টাচার,আদি বড় বড় বিলাতী ব্যবসায়ীদিগের বিপণীশ্রেণী ; বড় বড় হোটেল, ভিক্টোরিয়া টারমিনাস ষ্টেসন, এক্সপ্ল্যানেট মাঠ, দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পূৰ্ব্বে সাগর ; এই দুর্গমধ্যে “হরনবি রো” ; তাহার উপর ইংলিশ হোটেল, সেই হোটেলে আমি উঠিলাম। পূৰ্ব্বেই ৰলিয়াছি, বাটিটা সুন্দর, সুগঠিত, এবং রাস্তাটা অতি প্রশস্ত ; অনবরত ট্যামগাড়ি চলিতেছে ; এটা সহরের কেন্দ্র স্থান । বাটটার ভাড়া মাসে আট শত টাকা । আমি ত্রিতলে একটা ঘর লইলাম ; ৰেশ এক রকম সাজান,সুন্দর খাট ও বিছানা, পশ্চিম দিক খোলা, সুন্দর হাওয়া আসিতেছে । আহারাদির জন্ত সাধারণ হল প্রশস্ত লম্বা টেবল, সোফা, চেয়ার, বড় আশী, আলমারী আদি নানা সজ্জায় সজ্জিত। দিন চারিবার আহারের বন্দোবস্তু । সমুদ্রের মাছ, ভাল মাংস, রুট, মাখম, ভাত, পোলাও নানা রকমের অন্ন ; সুন্দর কল, কমলালেবু, পেপে ফলের মধ্যে । হোটেলের অধিকারী একজন পাশী ; ইংলণ্ডেও তাহার কার্য্য-স্থান আছে । কৰ্ম্মচারীর গোয়ানী ; তারা ইংরাজী জানেন না, পায়ে জুতা নাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ; সুন্দর বন্দোবস্ত আহারাদির বাটী, স্থান এত উৎকৃষ্ট হইলেও প্রতিদিন চারিটাকা,