পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৪ ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ জুলাই, ১৯০৯ তিন টাকা এমন কি দুই টাকা পৰ্য্যস্ত ব্যয়ে হোটেলবাসীরা থাকেন । আহাং দি এক ; ঘর ভিন্ন। আমি ৩ টাকার ঘরে থাকিতাম। আমরা ছিলাম, পাশী, বাঙ্গালী, পাঞ্জাবী, ইউরোপিয়ান সকল জাতীয় লোক । আহারে ইওরোপীয়ানরাই বসিতেন বেশী । আজ রবিবার, কাল কংগ্রেসূ বসিবে ; আহারাদি ও কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিয়া ব্যাপার জানিবার জন্ত বাহির হইলাম। নুতন স্থান, সকল বিষয় দেখিবার ও জানিবার মনে একটা বিশেষ ইচ্ছা ; আর কি সুন্দর রাস্তা ; পদব্রজে চলিলাম। দুর্গের রাস্ত সকলগুলিই অতি প্রশস্ত ; কলিকাতার আপার সারকুলার রোডের মত কোথাও, ওল্ডকোর্টহাউসের মত বা কোথাও ; এসপ্লানেট, চৌরঙ্গী ও হারিসন রোডের মত বা কোথাও । সে স্থানে চৌমাথা—দুইটী দেখিলাম, সেগুলি এক একটা মাঠের মত প্রশস্ত । এদিক্‌ ওদিক্‌ সকলদিকেই ট্রাম গিয়াছে। মধ্যে এক একটা স্মৃতি-স্তস্ত নানা প্রকারে চিত্র বিচিত্র। রাস্তার ধূলা নাই, শব্দ নাই ; রাস্তায় তেলঢালা, দেখিতে কিছু মংলা বটে, কিন্তু বড়ই আরামের পথ, চলিতে কষ্ট বোধ হয় না ; তবে দৌড়াইতে ভয় হয়, পাছে পা পিছ লাইয়া যায়, কিন্তু কাহাকেও পিছলাইতে ৰ। পড়িতে দেখি নাই । - শব্দ নাই, তাহার কারণ চাকাগুলি রবাবের, মোটর গাড়িরও সংখ্যা নাই, সেগুলির শব্দ ও গন্ধ বিরক্তিকর বটে, কিন্তু ধূলার মেঘ উড়াইয়া যায় না । এখানকার পঙ্কৗগাড়ি গুলি দেখিতে সুত্র নয় ; ভাল গাড়ি, ভাল ঘোড়া দেখিলাম না। এক নুতন রকমের গাড়ি দেখিলাম—গরুর তানজান ; গদির আসনে কাপড়ের চন্দ্রাতপের নীচে আসনপিড়ি হইয়া বসিতে হয়। অশ্বারোহী লোক একটীও দেখিলাম না। ট্রামগাড়ী ও মোটর গাড়ীর ভিড় সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক । এখানে মোটর গাড়ী ভাড়া যথেষ্ট পাওয়া যায়, আশ্চর্য্যের বিষয় যে, টাঙ্গা দাক্ষিণাত্য মধ্যভারত এবং বম্বের প্রদেশের সকল স্থানেই দেখিতে পাওয়া যার ; সহরে তার এক খানিও দেখিলাম না । বম্বের সকল রাস্তায় তেল দেওয়া হয় না ; রাস্তায় জল দিতেও কখনও দেখি তাই। এক এক স্থানে যথেষ্ট ধূলা উড়িয়া থাকে রাস্তার ধারে সাধারণের জন্য জলস্তম্ভ একটও দেখিলাম না । রাস্তার ধীরে গাছ অতি বিরল । প{-পথ অতি সং• কীর্ণ, আবড় খাবড়–অপরিস্কার । কলিকাতার দ্যায় প্রশস্ত, পরিষ্কার ও পাথর বঁাধান নয় ; অবশু আমি চৌরঙ্গী আদি স্থানের সহিত তুলনা করিয়া বলিতেছি । ট্রামগাড়ী গুলি সুন্দর পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও বার্নিশ করা । এক খানি মাত্র গাড়ি কলিকাতার দুখানির মত লম্বা ; উঠিবার সিড়ি মধ্যে ও শেষে, অগ্রপশ্চাৎ গাড়ির মধ্য দিয়া পথ ; ডাহিনে বামে বেঞ্চ, এক একটাতে দুইজনের . বেশী বসিতে পারেন না। ভাড়া অতি সামান্ত । কোন কোন গাড়িতে প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণী আছে। আকিয়া বাকিয়া ট্রাম রাস্ত সকল দিকেই গিয়াছে। নাসিকে যেরূপ হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ ঘোড়া দেখিলাম, এখানে সেরূপ ঘোড়া দেখিলাম না । পাৰ্ব্বত্য মারাট্টা ঘোড়াগুলি অতি তেজস্বী, কাৰ্য্যক্ষম। পাহাড়ে ঘোড়ার প্রকৃতিও শরীর গঠন মেট