পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి వెచ్చి ভিষকৃ-দৰ্পণ । আগষ্ট, ১৯০৯ ফসফেট অব সোডিয়মের উচ্ছলৎ পানীয় দেওয়া হইত। উদ্দেশু অস্ত্র পরিষ্কার থাকে, মধ্যে মধ্যে কোষ্ঠ পরিষ্কারের জন্ত পিচকারী দেওয়া হইত। জরনাশ এবং বলাধানের জন্ত এই উপায় সমস্ত অবলম্বন করা হইয়াছিল। কয়েক সপ্তাহ এইরূপ চিকিৎসা হইয়াছিল কিন্তু তাহাতে কোন উপকার না হইয়া বরং অপকারই হইয়াছিল, তজ্জন্ত টিউবারকিউ লোসিস পীড়া সন্দেহ করিয়া চিকিৎসালয়ে অন্ত্রোপচার জন্ত প্রেরণ করা হয়। কিন্তু কোন স্থানে টিউবারকেল সঞ্চিত হইয়াছে, তাহ তখনও নির্ণীত হয় নাই। চিকিৎসালয়ে উদর গহবরের মধ্যরেখায় প্রাচীর কৰ্ত্তন করিয়া উদরগহবর উন্মুক্ত করিয়া অস্ত্রীবরক ঝিল্লির গায়ে বিস্তর সংযত লসীক সঞ্চিত এবং মধ্যে মধ্যে টিউবারকেল সঞ্চিত শুভ্রবর্ণ গুটিকা দেখিতে পাওয়া গিয়াছিল, অন্ত্রের প্রাচীরের স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুভ্রবর্ণ, টিউবারকেল সম্মিলিত গুটিক সঞ্চিত হইয়া অন্ত্রের মধ্যস্থিত মল গমনের পথ সংকীর্ণ করিয়াছিল । ইহা অস্ত্রাবরক ঝিল্লির টিউবারকেল জনিত প্রদাহের ফল ৷ এক খও পেরিটোনিয়ম পরীক্ষা করায় টিউবারকেল দেখিতে পাওয়া গিয়াছিল । তজ্জন্ত ব্যাপক টিউবারকিউলোসিস মনে করিয়া অপর কোন অস্ত্রোপচার করা হয় নাই । কারণ এইরূপ অবস্থায় তদ্বারা কোন উপকারের আশা করা যাইতে পারে না । তজ্জন্ত উদর-প্রাচীরের কৰ্ত্তন সেলাই দ্বারা বন্ধ করিয়া কেবল স্ত্ৰাৰ বহির্গত হওয়ার জন্ত আংশিক উন্মুক্ত রাখা হইয়াছিল । অস্ত্রোপচারের পর ছটুতে রোগিণীর স্বাস্থ্যোন্নতি আরম্ভ হয়। কোষ্ঠবদ্ধতার লক্ষণ আর উপস্থিত হয় নাই। উদর প্রাচীরের কৰ্ত্তনের যে একটু অংশ সামান্ত উন্মুক্ত রাখা হইয়াছিল, কয়েক সপ্তাহ পর তাহা সম্মিলিত হইয়া বন্ধ হইয়া গিয়াছে । তৎপর হইতে ক্রমে ভাল হঠয়া বিবাহ করার পর দুইটী সস্তানের মাতা হইয়াছে । সস্তানও বেশ সুস্থ ও সবল । e পাঠক মহাশয় দেখিবেন যে, এই রোগিণীর অন্ত্রাবরোধের লক্ষণ থাকিলেও তাহার কারণ প্রথম যে রোগীর বিবরণ দেওয়া হইয়াছে তাহার কোষ্ঠবদ্ধতার কারণ হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন প্রকৃতির। অথচ উভয় স্থলেই উদর-গহবর উন্মুক্ত করার পূৰ্ব্বে টিউবারকিউলোসিস সন্দেহ করা হইয়াছিল । কেবলমাত্র উদর গহবর উন্মুক্ত করায় উভয় স্থলের কারণের পার্থক্য নির্ণীত হইয়াছে। নতুবা তাহ সম্ভব হইত কিনা, তদ্বিষয়ে বিশেষ সন্দেহ আছে । সাহেবদের দেশে বা সাহেবের ইচ্ছা করিলে যথা তথ৷ উদর গহবর উন্মুক্ত করিয়া রোগ নির্ণয় করিয়া থাকেন । এই জন্য প্রকৃত অবস্থা নিণীত হয়। কিন্তু আমরা নানা কারণে তন্দ্রপ করিতে অক্ষম । তজ্জন্ত আমরা রোগী পাইলেও তাহার প্রকৃত রোগ নির্ণয় না করিয়া কেবল মাত্র উপস্থিত লক্ষণের অনুসরণ করিয়া ঔষধের ব্যবস্থা করিয়া থাকি । এইরূপ চিকিৎসার দ্বারা কখন আশামুরূপ সুফল লাভ করা সম্ভব হইতে পারে না। কথায় কথায় উদরগহবর উন্মুক্ত করা হইতেছে, এই জন্তই অস্ত্রোপচারও বর্তমান সময়ে চিকিৎসার সম্বন্ধে যুগান্তর উপস্থিত হওয়ায় কিছু কিছু সাহায্য করিতেছে। নতুবা পূর্বের স্তায় “উদর গহবর উন্মুক্ত করা অতি