পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రీes ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ আগষ্ট, ১৯০৯ দ্রুতবেগে চালাইয়া পরে সাংঘাতিক সংঘর্ষণে রেলগাড়ী সম্পূর্ণরূপে ভগ্ন করিয়া ফেলে, তাহাকে যদি রেলগাড়ীর বিষয় চিন্তা করিতে জিজ্ঞাসা করা যায় সে চকিত ভাবে তাকাইয়া থাকে । যখন আমরা শিশুর কতকগুলি স্নায়ৰিক ঘাত প্রতিঘাত কার্য সমূহ হইতে একটা চিন্তাশীল জীবাকারে পরিণত হওয়ার জন্ত সুদীর্ঘ রাস্তার বিবরণের বিষয় মনে করি তখন ইহা অতি আশ্চর্য্য বলিয়া বোধ হয় না ? কারণ, জন্মের সময় এই জড়জগতে শিশু একটা সহায়ধীন জন্তুমাত্র । যে প্রকার খোষাযুক্ত মক্ষীক তাহার খোষ ত্যাগান্তে একেবারে অজানিত মাতৃজীবনে প্রবেশ করে এবং জন্তু পূৰ্ব্ব জন্মের তাহার দলের অমু সরণ করিবার জন্যই যেন ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মুহূর্তেই পায় ভর দিয়া দাড়াইবার জন্ত কম্পিত হয়, সেই প্রকার কিন্তু শিশুও মনুষ্যের এমিবা কোষ মাত্র, এই শিশুর বৃদ্ধিতে অসীম ইতিহাস পাঠ করা যায়, তাহার স্বধু বোধ ও নড়িবার শক্তি বর্তমান থাকে। প্রত্যেক বোধগম্য উত্তেজনায় তাহার নড়িবার ক্ষমতার উত্তেজনা হয় । অবশ্যই এই কাৰ্য্য কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত হয় না । যখন দীর্ঘ মানব জাতীর বংশধর সংস্কার বশতঃই'দুগ্ধ পানার্থে মুখ নাড়িলে কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়, এই নড়িবার চড়িবার কার্য্যই যখন বাহিরের বস্তুর সংস্পর্শে উৎপন্ন হয় এবং ইহার জ্ঞান মস্তিষ্কে অঙ্কিত হয়, তখনই বাহির জগতের অস্তিত্ব উপলব্ধি হয় । শিশুর তখন বিচার করিয়া জ্ঞানের কার্য্য করিবার ক্ষমতা জন্মে । হওয়া অসম্ভব। কারণ, জ্ঞান পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী অভিজ্ঞতার সমষ্টি মাত্র। ইহা ভেকের দৃষ্ট'স্তেই বেশ জানা যায়। যথা --সে’রব্রেল শূন্ত ভেকের মুখে খাদ্য প্রবেশ করাইয়া দিলে, তাহ আহার করিয়া বৎসরাবধি কাল ভেক জীবন ধারণ করিয়া থাকিতে পারে। ইচ্ছানুসারে কার্য্য করিবার তাহার ক্ষমতার একেবারে হ্রাস হয় এবং ইচ্ছানুসারে কাৰ্য্য করিতেও পারে না । কিন্তু তাহাকে স্পর্শ করিলেই সে লাফাইয়া উঠে । এমন কি অতি সহজ কাৰ্য্য করিবার ক্ষমতাও শিশু অতি ধীরে । ধীরে উৎপন্ন হয় । শিশুর ছষ্ঠ মাসের শেষভাগে সে তাহার মস্তক উঠাইতে সমর্থ হয় ; সাত মাসে শিশু উঠিয়া বসিতে পারে এবং এক বৎসরে দাড়াইতে পারে। ইহা ব্যতীত শিশুতে আরও কিছু বর্তমান থাকে। কারণ বিচার কার্য্যাদি ইচ্ছার একটা কাৰ্য্য মাত্র এবং এই কার্য্যের স্মৃতির সহিতই শিশুর মনের ভাব উৎপন্ন হইতে আরম্ভ হয় । তখন প্রকৃত কার্য্য বা বস্তুর অভাবে অথবা কোন অস্তিত্ব বিহীন বস্তু ও কার্য্য দ্বারা মস্তিষ্কের শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র উত্তেজিত হইয়া মনের ভাবের বা কার্য্যের উৎপত্তি হইতে থাকে । বর্তমান সময়ে মডশ্লি লিখিয়াছেন যে, শিশুতে অলৌকিক চঞ্চল অস্তিত্ব বিহীন প্ৰলাপ প্রায় সাধারণতঃই দেখা যায় । শিশু যখন তাহার হাত বাড়াইয়া দেয় এবং কোন বস্তু ধরিবার চেষ্টায় অপারগ হয়, তখন সদাই কোন প্রকৃত বস্তু যাহা তাহার আয়ত্তাধীনে । নয় তাহ ধরিবার প্রয়াস নছে । কিন্তু ইহ প্রকৃতপক্ষে অলৌলিক বস্তু ধরিবার নিষ্ফল এই ক্ষমতা পূর্ববর্তী সংস্কর ব্যতীত | প্রয়াস মাত্র। তখন সে প্রকৃত জগৎ হইতে