পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SX:8 উপরোক্ত নীতির অসমুরণ করি কিন্তু অনেক চিকিৎসকই দেখিয়াছেন যে, আমাদের দেশে অনেক সময় ঘোড়া, বা গাছ হইতে পড়িয়া গিয়া হাত কিংবা পা ভাঙ্গিয়া গেলে বা হাত পায় আঘাত লাগিলে গ্রামের অভিজ্ঞ বৃদ্ধ চিকিৎসক আসিয়া অনেক স্থলে ভগ্ন অীৰাত স্থানে যখন হাড়ের ভগ্ন মুখস্বয় একত্রই থাকে, তখন তথায় মেসেজ করেন ; তাহাতে রোগীকেও সুস্থবোধ করিতে অনেকেই দেখিয়াছেন এবং পরে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক নিয়মানুসারে হাড়ও জোড়া লাগিতে দেখা গিয়াছে কিন্তু সেই মেসেজ করাতে হাড় জোড়া লাগিতে বেশী সময়ও লাগে না বরং একটু দ্রুত ভাবেই এই কাৰ্য্য সম্পন্ন হয় বৃলিয়া অনেকে মনে করেন । পূৰ্ব্ব নিয়মের বিরুদ্ধে ইহার কার্য কি প্রকারে হয় তাহা বিবেচনাধীন। আমার বিশ্বাস যে, যেমন চিকিৎসক অনেকেই জানেন যে, অীজ কাল বৈজ্ঞানিক মতে একই অবস্থায় অনেক স্থলে উত্তাপ ও শৈত্য একই রকম ফল প্রদান করে যদিও তাঁহাদের কার্য্য প্রণালী একেবারে বিপরীত, সেই রকম বায়াম ও বিশ্রামের কাৰ্য্য প্রণালী যদিও বিপরীত তথাপি তাহার ফল একই রকম । হাড়ের ভয়ের তরুণ অবস্থায় আমরা বিশ্রাম ও শৈত্য কেন ব্যবস্থা করি ? বিশ্রাম, ভগ্নমুখ হইতে যে সকল পদার্থ— | রক্ত ইত্যাদি বহির্গত হয় ও যে সমস্ত বিধান , ভস্তু অত্যধিক আঘাতজনিত নিস্তেজ হইয়া পড়ে, তাছাদের মৃত্যুমুখে পতিত হইতে বাধা দেয় ও তাঁহাদের স্বাভাবিক শক্তির পুনরুদ্ধার করিতে অৱসর দেয় । শৈত্য দেওয়ার উদ্ধেগু ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ এই যে তাহাতে রক্তশিরার মুখ সঙ্কোচন করিয়া রক্তাদির অধিক নিঃসরণের বাধা দেয় । এখন দেখা যাউক “ যে, ব্যায়াম ও উত্তাপ দিলে পর ভগ্ন স্থানের কার্য্য কি প্রকারে হয়। মেসেজ করায় রক্তের স্রোতের আধিক্য হওয়ায় রক্ত স্রাবের আধিক্যের সহিত রক্তসঞ্চালনেরও আধিক্য হয় সুতরাং সেই রক্তস্রোতে বিনষ্ট প্রমুখ কোষসমূহ ভগ্নস্থান হইতে অন্তর অপসারিত হয় ও ভগ্নস্থানে অধিক রক্ত সঞ্চালনে ভগ্ন স্থানের কোষ অধিক উত্তেজিত হইয় তাহার হ্রাসশক্তির পুনরুদ্ধারাস্তে অধিক ও সম্যক রূপে কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হয়, তাহাতেই মেসেজে সুফল পাওয়া যায় বলিয়া আমার অনুমান হয় । মেসেজ করিবার সময় যে উত্তাপ উৎপন্ন হয় তাহাতে রক্ত চলাচলের অধিক্যের সাহায্য করে ও কোষসমূহ অল্প উন্তাপে ভালরূপে কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হয়। যদিও ছাড়ের ভগ্নে মেসেজ সুফল দান করে বলিয়া প্রায় সদাই দেখা যায় ও শুনা যায়, তবু অবস্থানুসারে মেসেজের আধিক্য হইলে তাহার যে কুফল হয় ও হইবে তাহার আর সন্দেহ নাই। “সৰ্ব্বং অত্যন্তগহি ঠং” এই প্রবাদের অনুসরণ করিয়া ইহা বলা যায় যে, মেসেজের আধিক্যে বিশ্রামের আধিক্যের স্তায় সময় সময় কুফল প্রসব করে । আমাদের দেশে অনেকের পেট ঝুলিয়া পড়িতে দেখা যায় এবং তাহার চিকিৎসার জন্ত অনেকে অনেক চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ বা ব্যবস্থা লইবার জন্ত আইসে । এই অবস্থার উৎপত্তির কারণ দৃষ্টে চিকিৎসকের চিকিৎসার প্রণালীর ব্যবস্থা করা দরকার।