পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্টোবর, ১৯০৯ ] রসনা । |రిy(t বিশেষতঃ অৰ্দ্ধাঙ্গ পক্ষাঘাত রোগে যখন নবম স্নায়ু পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়, তখন রসনা বহির্গত করিলে উহা এক পার্থে বহির্গত হইয়া থাকে, রসন অধিক পরিমাণে বহির্গত করিলে, উহ পীড়িত পাশ্বে বক্র হইয়া বহির্গত হয় । অত্যন্ত স্নায়বিক দেীৰ্ব্বল্য সংঘটিত হইলে রসন কম্পিত হইতে থাকে এবং তন্ধেতুক রসনার উপর শ্বেতবর্ণ-আবরণ দৃষ্ট হয় ; রসন পুনঃপুনঃ সঞ্চালিত হওয়াতে বায়ু ও শ্লেষ্ম। সংমিশ্রিত হইয়া উহার উপর শ্বেতবর্ণ ফেনোৎ পন্ন স্থায় । মস্তিক্ষেয় পীড়ার, বাক্যোচ্চারণ অস্পষ্ট ভাবে সম্পাদিত হইতে থাকিলে ও তৎসহ রসনার কম্পিতভাব বা সঞ্চালনের ব্যতিক্রম ঘটিলে, বুঝতে পারা য়ায়—মস্তিষ্ক কোনও প্রকার দুরূহ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইতেছে অথবা আক্রাস্ত হইবার উপক্রম श्ब्रांcछ् । 叠 রসনার তাপবিচূতি জীবনীশক্তি হ্রাসের এক প্রধান লক্ষণ । এই হেতু বিহুচিকা রোগের পরিণাম ফল যে স্থলে অতি সংঘাতিক হইয়া উঠে, তথায় রসনাও শীতলতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে। জরাদি রোগের কোলাপদ অবস্থাতেও রসনার উল্লিখিত অবস্থা অনুভূত হয় । রোগীর রসনা প্রদত্ত সংঙ্কেতগুলি আমাদিগের অতীৰ মনোযোগার্হ । অনেক সময় এরূপও ঘটিয়া পড়ে যে, রসনার একাধিক চিহ্ন যুগপৎ পরিদৃষ্ট হইতে থাকে, এমত স্থলে ঐ সকল চিহ্ন দ্বারা রোগীর শরীরে ভিন্ন ভিন্ন রোগের অবস্থান হইয়াছে বলিয়া মনে করিতে হইবে। মদ্যপেয় রসনার এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল নহে । বিদীর্ণতা, পাণ্ডুবৰ্ণ আবরণ ও সঞ্চুলন সকলই যুগপৎ পরিদৃষ্ট হয়। মধুমেহ রোগের প্রাখৰ্য্য উপস্থিত হইলে উহার স্বাভাবিক ভাবের অনেক পরিবর্তন হয় । এমত স্থলে রসন স্বাভাবিক অপেক্ষা অনেক উজ্জ্বল ও श्रतिकाव्र झूठे शञ्च ७६९ उंशंद्र विनाब्र१ बां কণ্টকাৰ্বতের পরিবর্বে চিৰুণ ও সমতল পরি দৃষ্ট হইয়া থাকে। কোন কোন স্থলে এতৎপরিবর্তে রসনা শুষ্ক বা কিয়ৎ পরিমাণে উহার আর্দ্রতার নুন্নতা লক্ষিত হয় । রসনার এই সকল লক্ষণাবলীর বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিলে সহজেই প্রতীতি হইতে পারে যে, রসনা বাস্তবিকই শারীরযন্ত্রের দর্পণ স্বরূপ দর্পণে যেমন অভিমুখী বস্তুর প্রতিকৃতি প্রতিফলিত হইয়া থাকে, রসনাতেও সেইরূপ শরীরস্থ ব্যাধির সত্ত্ব প্রতিফলিত হইয়া থাকে । মনোযোগসহকারে রসনাপ্রকাশিত লক্ষণ নিচয় পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে, অনেক বাধির কারণ ও ভাৰিফলতত্ত্ব পরিজ্ঞাত হষ্টতে পারা যায় ।