পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミや ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ নবেম্বর, ১৯০৯ কিম্বা যদি সম্ভব হয় তবে পরীক্ষা করিয়া দেখা | উচিত যে, বাস্তবিকই ঔষধটা সেই মাত্রায় কাৰ্য্য করে কি না । যদিও লোকে স্বীয় ইচ্ছামত পচননিবারক ঔষধগুলি ক্রয় করিয়া থাকে তথাপি প্রায় তাহারা ক্রয়ের পূৰ্ব্বে ডাক্তারের মত লয় বা ডাক্তার মহাশয়দিগকে যে ষে ঔষধ বেশী ব্যবহার করিতে দেখে তাহাই ক্রয় করে । অস্ত্রচিকিৎসায় যে সকল পচননিবারক ঔষধ ব্যবহৃত হয় সেইগুলিত চিকিৎসকগণ মহাশয়েরা নিজেরাই ঠিক করিয়া লন । তাই দেখা যাইতেছে যে চিকিৎসকদিগেরই বিশেষ ভাবে পচননিবারক ঔষধগুলির ব্যবহার ও তাঁহাদের কার্য্যোপযোগী মাত্রা বা পরিমাণ জানা থাকা উচিত। তাহারাই সৰ্ব্ব সাধারণের আদর্শ । গিসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার কার্ট লুইবেনহিমার সম্প্রতি একটা সুন্দর প্রবন্ধ বাহির করিয়াছেন । পচননিবারক ঔষধগুলির কোনটা কি প্রকারে পরীক্ষা করিতে হয় ; ও তাহাদের পরীক্ষার ফল ঠিক কিনা তাহা কি প্রকারে খাটাইয়া দেখিতে হয়, প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলি এই প্রবন্ধে সবিশেষ বর্ণিত আছে । রচকের নিজের প্রমাণস্বচক পরীক্ষা ফলগুলি পৰ্য্যন্ত ষ্টগতে সুন্দররাপে দেওয়া আছে । ইউ4োপের ভিন্ন ভিন্ন দেশে তাহারই মতানুসারে টিননিৰারক ঔষধগুলি পরীক্ষা করা হয় । তন্মধ্যে দুই একটা এখানে উদ্ভূত হইল। কোন একটা পচননিবারক ঔষধের নিবারণ শক্তি জানিতে গেলে, প্রথমেই রোগোৎপাদক জীৱাণুদিগকে ঔষধটা কি मांजाब वा कि थकॉल क्षरण करन रेश लांड থাকা উচিত, ইহা সকলেই এক স্বরে অবশু ই স্বীকার করিবেন। তাই জীবাণুধ্বংস শক্তি জানা আছে বলিয়া ইহার রাসায়নিক উপাদান না জানিলে চলে, এ কথা খাটিবে না। ডাক্তার রিডাল ও ডাক্তার ওয়ালকার চিকিৎসকগণ একত্রে ১৯০৩ সালের প্রথমে দেখান যে, সকল ঔষধগুলিই কোন নির্দিষ্ট পরিমাণে কার্য্য করিয়া থাকে । তাহাদের মত সাধারণ ভাবে গ্রহণ করা হইয়াছিল, কারণ অনেক অনেক কাৰ্য্য বিভাগে তাছাদের মতানুযায়ী ফলও দেখা গিয়াছিল ও পরীক্ষা করিয়া তাহাদের কথাটা ঠিক বলিয়া প্রমাণিতও হয় । কিন্তু অন্ত কয়েকজন পরীক্ষক দেখাইলেন যে, উক্ত চিকিৎসকদ্বয়ের মত কিছু কিছু সত্য হইলে ও সাধারণের প্রতিজনক হইলেও উহা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। ইহারা প্রমাণ করিলেন যে, রিডাল-ওয়ালকারের দ্যায় সুখ্যাতিপন্ন সমকক্ষ অন্তান্ত পণ্ডিতগণও ঐ প্রকার পরীক্ষাতেই অন্ততম ফল পাইয়াছেন । একই পচননিবারক ঔষধের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন ফল দেখা যায়। নানা তর্ক বিতর্কে দেখান হয় যে, পচননিবারক ঔষধগুলির ব্যবহার দোষেই এই প্রকার ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষায় পরীক্ষকভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফল দেখা যায় । তাহারা আরও দেখান যে, রিডাল ওয়ালকার পচননিবারক ঔষধসমূহের যে পরিমাণ বা মাত্রা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন সেগুলি সেই পরিমাণ বা সেই মাত্রায় অনেকসময় একেবারেই পচননিবারণ কার্য্যে সহায়তা করে না । কোন একটী দ্রব্যের পচননিৰারক শক্তি ঠিক করিয়া বলা কঠিন, তাহার প্রথম কারণ