পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8NSు ভিষকৃ-দৰ্পণ । ডিসেম্বর, ১৯০৯ পুৰ্ব্ব হইতে উরট পিন সেবন আরম্ভ করিলে আর তদ্রুপ প্রদাহ উপস্থিত হইতে পারে না । গুরুতর অস্ত্রোপচারের পর যে স্থলে উক্ত ৰিল্লির প্রদাহের আশঙ্কা থাকে, সেই স্থলে উরট পিন প্রয়োগ করিয়া প্রদাঙ্গেৎপত্তির প্রতিরোধ করা যাইতে পারে। রক্তোৎকালী—চিকিৎসা | (Squire ) রক্তোৎকাসী যত সীমান্তই হউক না । কেন,তৎসমস্তই কঠিন পীড়া ব’লয়া চিকিৎসা কৰা কৰ্ত্তব্য । রক্তোৎকাসীর সময়ে এবং তাহার কয়েক দিবস পর পর্য্যন্ত শাস্ত সুস্তির অবস্থায় শয্যায় শায়িত রাখা একটা প্রধান । কৰ্ত্তব্য । রোগী প্রথমতঃ রক্তস্রাব আরম্ভ মাত্র যদি শয্যা গ্রহণ না করিয়া থাকে তাঙ্গ হইলে তৎক্ষণাৎ তাহাকে শয্যা গ্রহণ করাইতে হইৰে । সাধারণতঃ রোগীকে শয্যায় শায়িত রাখিয়া তাহার মস্তকের নিম্ন হই তে উপাধান बूढौछूड করা হইয়া থাকে। উদেশ্ব-মস্তক দেহাপেক্ষা নিম্নে থাকে । কিন্তু তৎপরিবর্তে এক্ষণে মন্তক এবং স্কন্ধদেশ অপেক্ষাকৃত উদ্ধে স্থাপন করা হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে বক্ষস্থলের উপরে বরফ প্রয়োগ করা হইত । কিন্তু এক্ষণে উক্ত প্রথা পরিত্যক্ত হইয়াছে । তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরফ খণ্ড চুধিতে দেওয়া হয়। রক্ত নির্গত ইয়া যাওয়ায় পিপাসা বৃদ্ধি হয় । ঐ রূপ বরফ চুষিতে দিলে তাহার নিবৃত্তি হয়। এই সমরে বরফ চুষিয়া রোগী যত আরাম বোধ করে, যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করিতে দিলে তত তারাম বোধ করে ब1 ।। রক্তোৎকাসীর রোগীর চিকিৎসায় তাহার কারণ ঠিক করিয়া ঔষধ প্রয়োগ করা কর্তব্য । একটী ক্ষয়রোগগ্রস্তা বালিকার রক্তোৎকাসী হইতে ছিল ; যথেষ্ট পরিমাণে শোণিত নির্গত হইত। সাধারণ প্রচলিত চিকিৎসায় কোন উপকার পাওয়া যায় নাই । শেষে পরীক্ষায় জানা যায় যে, তাহার প্ল,রার দক্ষিণ গহর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে তরল পদার্থ সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে । তজ্জন্ত লাবণিক বিরেচক ঔষধ সহ মূত্র কারক ঔষধ যথেষ্ট পরিমাণে প্রয়োগ করায় প্লরার গহবরস্থিত স্রাব শোষিত হওয়ার পর শোণিতস্রাব বন্ধ হইয়াছিল। এই সমস্ত বিশেষ প্রকৃতির রোগী। সাধারণতঃ যে শ্রেণীর রোগী অধিক পাওয়া যায় সেই শ্রেণীর চিকিৎসা সম্বন্ধেই এ স্থলে উল্লিখিত হইতেছে । রক্তোৎকাসীর চিকিৎসা সাধারণতঃ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া বর্ণনা করিলে সুবিধা হয় ৷ যথা— ১ম । শোণিতস্রাব প্রতিরোধক চিকিৎসা | ২য় । শোণিত শ্রীবের অবস্থায় চিকিৎসা | ৩য় । শোণিত স্রাবের পরবর্তী চিকিৎসা | কাসির গয়েরের সহিত সামান্ত শোণিত দেখিলেই তাহা ভাবিবিপদ , নির্দেশক লক্ষণ বলিয়া মনে করিতে হুইৰে । শোণিতের পরিমাণ যত অল্পই হউক না কেন, রোগীকে অনতিবিলম্বে শয্যাগ্রঃণ করাইবে । ৩-৫ গ্রেণ মাত্রায় ক্যালমেল সেবন করাইয়া তৎপরদিবস প্রাতঃকালে একড়াম বা উপযুক্ত মাত্রায় সালফেট অফ ম্যাগনিসিয়া ব্যবস্থা করিবে । দাস্তপরিষ্কার না হইলে কয়েকবার এই ঔষধ সেবন করাষ্টতে হয় । ইহার পরদিবসও ম্যাগ