পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডিসেম্বর, ১৯০৪ ] ( অক্সিডেসন বা দেহ তন্ত্রের শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত উত্তাপ হইতে উৎপন্ন ) ( শক্তি বা মেটাবোলিজম যাহা আপন হইতেই প্রকাশ পায় ), তাছাকে থাম্মোজে নেটিক শক্তি বা পিত্ত বা তম গুণ বলে । এষ্ট শক্তিই ( ক্রিমাশক্তি ) মানবদেহের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের ক্রিয়। ক লোপ প্রকাশ করে এ দেহ তন্ত্রের গতিশক্তির প্রধান ক্রিয়ার নাম পিঃলানাড়ী বা তম গুণ বা রুদ্র । দেহতত্ত্ব পোষণের নিমিত্ত অtহারীয় দ্রব্য হইতে এক প্রকার রস প্রস্তু ই হয়, সেই পোষণকারী রস হইতে ভিন্ন ভিন্ন কোষ সমূহ নিজ নিজ বস্তু ভিন্ন পরিমাণে অাকর্ষণ করে । পৈশিক কোষগুলি যেরূপ পেশীর উপাদান সেইরূপ অস্তি কোষ অস্তির উপাদান এবং স্নায়ু কোষ সকল ও তদ্রুপ আপনাপন উপাদান অ! কর্ষণ করে । টেষ্টিকেল বা অণ্ডকোষ বা মুফাগু র গু হইতে সেইমত শুক্রবীর্য্য তৈয়ারি করিবার নিমিত্ত তাহার উপাদান গ্রহণ করে । প্রত্যেক শুক্রবিন্দুতে বহুসংখ্যক পুংবীজ কীটাণু বর্তমান ইহার প্রত্যেকটা পিতার মত সমর্থ। মুস্কাগু হইতে শুক্ৰ তৈয়ারি হইয়া শুক্রকোষে বা ভেসিকিউলি সেমিষ্ঠালিসএ সঞ্চিত হয় । অণ্ডকোষের পুং বীজ প্রস্তুত শরীরেক্ট থাকে ! &ীল উৎপাদনে করণ ব্যতীত অন্ত ক্রিয়া ও আছে । যদি মুস্কাও বা অণ্ডকোষ বাল্যাবস্থায় নষ্ট করা যায়, তাহা হইলে সে পুরু ষের যৌবনাবস্থায় যৌবনের অনেক চিহ্নই দেখিতে পাওয়া যায় না । যেমন দামড়া গরু এবং বলীবদের অবয়বের জীবনীশক্তি । 88S) পার্থক্য বোধ হয় সকলেই তাহ। লক্ষ্য করিয়াছেন । দামড় গরুর অগুকোষ ব্যতীত তার কিছুরই অভাব নাই । ইহাতে যে আও কোষ আভ্যন্তরিক নিঃসরণ যেমন ক্লোমের আভ্যন্তরিক নিঃরসণ বহুমুত্র পীড়া, থাই . রয়েড-গ্রস্থি পীড়া, যেমন স্থ প্লারিনাল গ্ৰন্থি এটি সন্স পীড়া বন্ধ করে সেইরূপ অণ্ডকোয হইতে এমন কোন এক প্রকার পদার্থ রক্তে যায়, गाश দেহের পুং চিহ্ন সকল প্রকাশ করে । বেশ বোধ হইতেছে, কোন প্লকার (2FFI রক্তে করে, মাইক্সডিম আমাদের আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রে দেখিতে পাওয়া যায় যে শুক্ৰধাতুই সকল ধাতুর সারাংশ অর্থাৎ সকল পদার্থের রস হইতে ইহা সৰ্ব্বশেষে উৎপন্ন হয় । , দুগ্ধে যেমন সপি থাকে, শুক্র ধাতুও সেরূপ দেহের সকল স্থানেই একভাবেই থাকে। অন্নের সারভূত রস, স্কুল ও স্বক্ষ এই দুই ভাগে বিভক্ত হইলে শুক্রের স্নেহময় সুহ্মভাগ গুজ:রূপে পরিণত হয় । ওজঃ শরীরেক্ট সকল স্থানে ব্যাপৃত থাকে । ইহা শুভ্রবণ, স্নিগ্ধ, শীতল, শরীরের বলবৰ্দ্ধক ও পুষ্টিকর। ঘৃত যেমন দুগ্ধের স্নেহময় বিকার, ওজঃ তেমনি সকল ধাতুর স্নেহময় পদার্থ। ইহার প্রধান স্থান অনেকে বলেন হৃদয় । আবার অনেকে ন! জানিয়া ভুলক্রমে ইহাকে য়্যালবুমেনের সহিত তুলনা করিয়া একরূপ পদার্থ বলিয়া থাকেন। যদিও য়্যালবুমেন বীজাঙ্কুর মাত্রেই আছে কিন্তু ইহা য়্যালবুমেন নহে । এক মাসের মধ্যেই রসের সারাংশের স্থলভাগ হই তে পুরুষের শুক্র এবং স্ত্রীলোকের