পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NÒe B ভিষক-দৰ্পণ । ফেব্রুয়ারি, ১৮৯২ জলে দ্রবনীয় । পাকস্থলীয় অল্পরসে ইছা দ্রবনীয় নহে । অথচ ইহা কিরূপ ভাবে যে শরীরে শোষিত হইয়া ক্রিয় প্রকাশ করে তাহা অদ্যাবধি স্থির হয় নাই । ভায়েনা নগরের ডাক্তার কবলীর সর্ব প্রথমে ইহার গুণ পরীক্ষা করেন । ডাক্তার কবলাবের মতে— (১) ফিনাসিটিন অতি উত্তম উত্তাপহাবক (২) ইহাতে কোলাপদ ( পতনাবস্থা ) पछानिघ्नन दद्वन्न न । (৩) অল্প মাত্রায় পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করা অপেক্ষ ইহা ৮১২ গ্রেণ মাত্রায় একবার মাত্র প্রয়োগ করা ভাল । (৪) এইরূপ মাত্রায় প্রযোগ করিলে ৩.৬ ডিগ্রী হইতে ৪ ৫ ডিগ্রী উত্তাপ হ্রাস কুবে । (৫) নিউমোনিয়া পীড়tফ্রান্ত বোগীকেও দেওয়া যাইতে পারে। ডাক্তাব কবলার ১০টা নিউমোনীয়াগ্রস্ত বোগীতে পৰীক্ষা কবিয়া দেখিয়াছেন যে, ফিনাসিটিন হৃদয়েব অবসাদ উৎপন্ন করে না । ফিনাসিটিন মুনিদ্রাকারক । সীমান্য জর ইয়া যদি রোগীর মুনিদ্র। না হয এবং রোগী অস্থির হয় তবে ৩—৪ গ্ৰেণ মাত্রায ১ ডোজ ফিনাসিটিন প্রয়োগ করিলে তৎক্ষণাৎ রোগী স্থির হইয়া নিদ্রা যায । সার্জন মেজর ডাক্তার এম্বিসাহেব ৰলেন যে, অত্যন্ত উত্তাপ বৃদ্ধি হইলে (যেমন ১০৬-১০৭) এণ্টিপাইবি দেওয়া উচিত। উত্তাপ ১০৩ হইতে ১০৫ পর্য্যন্ত হইলে এণ্টিফেব্রিন এবং তল্লিম্নে উত্তাপ থাকিলে । ফিলালিটিন দেওয়| কৰ্ত্তব্য । আমরা দেখিতে পাই এন্টিপাইরিন, প্রয়োগে অৰ্দ্ধঘণ্টা মধ্যে উত্তাপ হ্রাস করে । এজন্য অত্যন্ত উত্তাপ বৃদ্ধি হইয়া জীবন শঙ্কটাপন্ন হইলে ফিনাসিটিন বা এণ্টিফেব্রিন না দিয়া এণ্টিপাইরিন দেওয়াই কৰ্ত্তব্য । অত্যন্ত অধিক উত্তাপ বৃদ্ধি হইলে Cofagojifos (Cold packing) Tortoto উপকারী এবং নিরাপদ । কিন্তু অনেক স্থলেই দেখা যায় রোগীর অভিভাবক এইরূপ চিকিৎসায় অত্যন্ত ভয় পায় । সুতরাং সেই সেই স্থলে খাইবার ঔষধের উপরই নির্ভর করিতে হয় । কিন্তু ভাল উত্তাপহাবক ঔষধ হঠাৎ পাওয় না গেলে কোল্ড প্যাকিং দ্বারা চিকিৎসক অনেকস্থলে রোগীর জীবন রক্ষা করিতে সমর্থ হন । অত্যন্ত শীতল জলে কম্বল ভিজাইয়। ঐ কম্বল দ্বার। বোগীর সর্বাঙ্গ আচ্ছাদিত করাকে কোল্ড প্যাকিং কহে । অত্যন্ত উত্তাপ বৃদ্ধি হইয়া শিশুদিগের তড়ক (কনভলশন) হইলে শীতল জল @iगा:श्रृंद छूशा डेश५ श्राद्र माझे । श्रांभाद्र চিকিৎসাব একটি নিয়ম এই যে, অত্যস্ত উত্তাপ বুদ্ধি বশতঃ শিশু নিতাস্ত অস্থির হইলে অথবা তড়ক। হওয়াব সূত্রপাত হইলে শিশুকে সোজা করিযt বসাইয়। তাহার মস্তকে ও গাত্রে খানিক, শীতল জল ঢালিয়া দিয়া থাকি । শীতল জলে গামছ। ভিজা ইযা মস্তকে, চক্ষে এবং মেরুদণ্ডে জল প্রয়োগ করিলে তৎক্ষণাৎ শিশু সুস্থ হয় । এইরূপ শীতল জল দ্বারা চিকিৎসা অনেক স্থলে শিশুর একমাত্র জীবন রক্ষার উপায়।