পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v56:ს পানীয়। এই জল কেবল মাত্র যে ঘৰ্ম্ম বা প্রস্রাব বৃদ্ধি করে তাহা নহে ; লাল নিঃসরনের আধিক্য জয়ায় এবং পিপাস নিবারণ করে। এইরূপ বকস্টন রাজ্যের মধ্যস্থ প্রস্ত্ৰবণের জল ফ্যাটুলেনসী ( উদরাপ্তান ), হার্ট বর্ণ ( বুক'জাল' ), নসিয়া ( বমনেচ্ছ ), ইনডাই জেশন ( অজীর্ণ , প্রভৃতি রোগের পক্ষে উপক [পক । এবস্ত কার সুম চং ধৰ্ম্মাক্রান্ত জল ইউরোপেপ অন্তঃবৰ্ত্তী অনেক স্থলে আরও অনেক আছে । তা মর বাহুল্য ভয়ে সে সমস্তের কোন ও বিবরণ প্রকাশ করিলাম না । জপে সহিত ভিন্ন ভিন্ন পদার্থ মিশ্রি ত থাকা প্রযুক্ত, যে বিশেষ গুণ যুক্ত হয়, ইহা প্রমাণ কবণার্থই, আমরা এই কয়েকটি প উল্লেখ করিলাম মাত্র । আমাদিগের দেশে সাতকি গু, চন্দ্রনাথ কুণ্ড প্রভৃতি যে প্রস্রবণগুলি আছে, তাই - দিগের জলও কোন বিশেস ধৰ্ম্ম ক্রাপ্ত হওয়৷ অসম্ভব নহে ; সুবিধাম ত পত্যেকেবই পরীক্ষা করিয়া দেখা উচিত । এই সমস্তকে যে তীর্থস্থান বলি উল্লেখ কবিয়া গিয়াছেন, তাহতে অবশ্যই কোন নিগুঢ় তাৎপৰ্য্য নিহিত আছে। শাস্ত্রের প্রত্যেক উপদেশের যথার্থ মৰ্ম্ম অনুধাবন করা বাস্তবিকই অতিশয় কঠিন ; পরস্তু আমরা বৈদেশি, শক্ষার গুণে— তাহাদিগের সহিত প্রতিযোগীতা দেখাইবার আকাঙ্খায়, ঐ সমুদাঘ উপদেশের স্তন্ম বিচার না করিয়াই, তদ্বিষয়ে বিপরীত তাহা অার্স্যেরা হিন্দু ভিষক-দৰ্পণ । [ মাচ, ১৮৯২ SMSMAAAA নাড়ী উন্নত করিবার বিশেষ উপযোগী ! ! | | মন্তব্য প্রকাশ করিয়া থাকি। মানব মণ্ডলীর প্রভূত মঙ্গল সংসাধিত হইবার खनाझे, জলকে নারায়ণ ( ঈশ্বর ) তুল্য সন্মান বা জ্ঞান করিবার উপদেশ বিধিবদ্ধ করা হই য়াছে । যেহেতু, জল নারায়ণ, এই জ্ঞান জন্মা তে পারলে, মল মুত্রাদি কোন দূষিত এমন কি উহাতে নিষ্ঠিবন জলের প্রতি পদার্থ এবং পদ্য স্থ নিক্ষপ্ত হইবে না । এই প্রকার বিশ্বাসে অর্থাৎ জলকে নারায়ণ তুল্য পূঞ্জ কবিলে মনুষ্য স্বৰ্গবাসী হইতে পরে। বাস্তবিক ও তাহাই বটে ; জলে যদি কোন প্রকার দুষিত পদার্থ নিক্ষিপ্ত না হয়, তাহা হইলে উহা অতি বিশুদ্ধাবস্থায় থাকে, এবং ঐ রূপ জল পানে, অবিশুদ্ধ জল পান জনিত ব্যাধি সকলও উৎপত্তি হইতে পারে না, মনুষ্য ব্যাধি পীড়িত না হইলে, সত্য সত্যই ত স্বগবাসী ! যে স্থানে রোগ শোক নষ্ট ত স্বৰ্গ । \ আমর। এ সকল কথায় কর্ণপাত করি যেহেতু আমরা রসায়ন শাস্ত্র শিক্ষা করিয়ছি । আমরা রসায়ন শাস্ত্রের বলে শিক্ষা করিয়াছি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সংযোগোৎপন্ন পদার্থই জল, ইহাকে যিনি ঈশ্বর বোধে পূজা করেন, তিনি ত নিতান্ত অধ্ব চীন । কি জ্ঞান ! বস্তুতঃ এরূপ জ্ঞানের ফলও আমরা সুন্দর রূপ লাভ করিuতছি । সে যাহা হউক সকলেই জল বিষয়ক তাহাদিগের স্ব স্ব রাসায়নিক জ্ঞান পরিত্যাগ করিয়া आशा মহাপুরুষদিগের প্রাচীন জ্ঞানের প্রতি প্রগাঢ় বিশ্বাস স্থাপন করিলে, আমাদিগের ষে সুমহৎ মঙ্গল পুনরাগমন করিবে, তাহ সম্পূর্ণরূপে আশা নাই সেই স্ত નૈ| ;