পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 o থাকে । পরিধির অংশ, প্রথম অবস্থার বিকাশের পরিচায়ক ক্রমাগত এই অংশের বৃদ্ধি হইতে পারে । ই হাতে কোষের অধিক্য দেখা যায়, ইঙ্গার তৎপরাংশ বা মধ্য অংশকে ফাইব্রস জোন ( Fibrous zone ) বলা যায় । ইহাই বিকাশের দ্বিতীর অবস্থা; ইহাতে গ্র্যামুলেশন-তন্তু প্রায় সম্পূর্ণ রূপে সুত্রবৎ আকার ধারণ করে । ভিন্ন ভিন্ন গমেটায় ইহার. তারতম্য দেখা যায় । কোন স্থলে স্বত্রবৎ গঠন স্পষ্ট থাকে, কোথায় ব। কঠিন পিকেটি সের ( Cicatrix ) Ayt: আকার ধারণ করে, কোথায়ও বা কোষপূর্ণ জালবৎ গঠন প্রাপ্ত হয়। মধ্যস্থলে ( Central zone ) আকারবিহীন পদার্থে পরিপূর্ণ থাকে, ইহাই সৰ্ব্বপ্রথম উৎপন্ন হয় এবং ইহাই অপকর্ষের পরিণত অবস্থা । গমেটার মধ্য স্থলে শোণিত প্রণালীর পরিবৰ্ত্তন বশতঃ শোণিত সঞ্চার সম্পূর্ণ রূপে বদ্ধ হইয়া থাকে, সেই জন্যই ইহাতে অপকর্ষের লক্ষণ দৃষ্ট হয়। প্রথমাবস্থায় যখন কোন তত্ত্বর ধ্বংস না হইয়। থাকে, তখন গমেটা শোষিত হইতে পারে । শেষ বস্থায় গমেটার মধ্য স্থান প্রায়ই শোষিত হয় । সেই জন্য এক প্রকার সঙ্কে{চন দাগ থাকে । প্রস্তরবৎ পরিবর্তন প্রায় হ’ম না, কখন কখন গমেটা বিগলিত হইয়া চতুর্দিকে পুয় উৎপন্ন করিয়া থাকে, এই স্ফোটক বিদীর্ণ হয় এবং তন্মধ্যে হরিদ্রাবর্ণ শ্লফ দেখা দেয় । ইহা টুবারকিউলার রোগের পনিরবৎ পরিবর্তনের মৃত তত্ত্ব হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। ইহা সিক্ত চৰ্ম্মের ন্যায়, স্থিতিস্থাপক চতুর্দিকুস্থ তত্ত্বর সহিত সংলগ্ন থাকে এবং অতি অরে। ভিষক-দৰ্পণ । ജ്ജ്ജമ്മിജി [ G, :b:సి অল্পে নিক্ষিপ্ত হয়, তৎপর ক্ষুদ্র বা বৃহৎ গহবর থাকিয়া যায় । গহবরের পাশ্ব কোমল ও অসমান । জিহবাতে ইহা প্রায়ই দেখা যায় । ত্বকের এবং শ্লৈম্মিক ঝিল্লির গমেট প্রায়ই এইরূপ প্রকৃতি ধারণ করে । উপদংশ রোগের প্রথমাবস্থায় কখন কথন চৰ্ম্মের উপর যে ক্ষত হয় তাহার সহিত ইহাকে পৃথক্ করা আবশ্যক । উৎপত্তিস্থান—গমেটা সচরাচর চৰ্ম্মে, চৰ্ম্মের নিম্নস্থিত শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, ফেরিংস সফট প্যালেট,জিহবার শ্লৈখ্রিক ঝিল্লির নিম্নে পেশী, ফ্যাসিয়া, যন্ত্র সকলের সংযোগ তত্ত্ব বিশেষতঃ যকৃৎ, মস্তিষ্ক, অণ্ডকোষ এবং মুত্রগ্রন্থির সংযোগ তত্ত্বতে সচরাচর পাওয়৷ যায়। আজন্মিক উপদংশ রোগে বায়ুকোষেও পাওয়া গিয়াছে। এই গমেটা স{ৰ ৭ তঃ বিলম্বে উৎপন্ন হয় বলিয়। ইহা উপদংশ রোগের টারসিয়ারি (Tertiary) লক্ষণ বলিয়া উক্ত হইয় থাকে, কিন্তু বাস্তুবিক ইহা ঐ রোগের প্রথম অবস্থাতে ঘটিতে পারে । সেকেণ্ডারি ও টারসিয়ারি অবস্থা বিশেষ রূপে পৃথকূ করা কঠিন । এই দুই অবস্থায় যে সকল নৈদানিক লক্ষণ উৎপন্ন হয়, তাহ বিভিন্ন করা দুষ্কর। সকলই প্রদাহ সস্তুত, কতকগুলি সীমাবদ্ধ, অপর গুলি বিস্তৃত । এমন কি হার্ড স্যাঙ্কারের (Hard chancre) গঠন গমেটার প্রথমাবস্থার ন্যায়, উহাতে লুকোসইটাস, তত্ত্ব-উৎপাদক কোষ এবং অদ্ভুত কোষ (Giant cells ), স্বত্রবৎ কোষ ব্যবহিত পদার্থের মধ্যে থাকে। শোণিত প্রণালীর পরিবর্তন— মস্তিষ্কের ধমনীর এক প্রকার পরিবর্তন