পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S e গঙ্গাদির পরিচালনাশক্তি চিরকালের জন্য বিনষ্ট হইয়া যায়। অনেক রোগী অল্প বা অধিক দিনের মধ্যে রোগের হাত হইতে মুক্তি পাইয়। সম্যক বা আংশিক রূপে সুস্থt বস্থ প্রাপ্ত হয় । চিকিৎসা —রোগীকে স্থিরভাবে শায়িত রাখা বিধেয় । ক্লিষ্টার প্রয়োগ, পীড়াগ্রস্ত পেশীসমূহকে উত্তমরূপে মর্দন ও ঘর্ষণ এবং তদুপরি উষ্ণ জল প্রয়োগ, তাড়িৎ সংযোগে তাহাদিগকে উত্তেজনা করা, অতি অল্প মাত্রায় হাইপোডামিক সিরিঞ্জের দ্বারায় তাহদেব অভ্যস্তরে স্ট্রীকৃনিয়া প্রযোগ । বোগেব পুরাতন অবস্থায় ষ্ট্রাকনিয়া, লৌহঘটিত ঔষধ, ফশ্বরাশ, আর্সেনিক, কড়লিভাব অইল প্রভৃতি বলকারী ঔষধ উপকারী । অন্যান্য উপায়ে রোগীর স্বাস্থ্যোন্নতি বিধেয় । পুরাতন পলিওমাইলাইটস্ । শৈত্য সেবন, মেরুদণ্ডে আঘাত, কনকাশন, নানা কারণে অপরিমিত বলক্ষয় প্রভৃতি ইহার কারণ বলিয়। উক্ত হয । যৌবন ও প্রৌঢ়াবস্থায় এই পীড়ার আধিক্য দেখা যায় । লক্ষণ –পক্ষাঘাত, অল্প বা অধিক পরিমাণে শরীরেব নিমশাখাদ্বযে লক্ষিত হয় । এমে হস্তদ্বয়ও আক্রান্ত হয়, কখন কখন সারভাইকেল দেশ ও মেডাল পৰ্য্যস্ত পীড়াগ্রস্ত হইয়। রোগীর মৃত্যু উপস্থিত করে। স্পর্শামুভব-শক্তি কোন সময়ে নষ্ট ভিযষ্ণ-দৰ্পণ । झईशांव्र गडांवमi थां८क ना ? क्ख् िश्रट মেরুদণ্ডের উপর | { জুলাই, ১৮৯২ হয় মা । এই পীড়াতে শয্যাক্ষতও লক্ষিত্ত হয় না এবং মূত্রাশয়ের বা রেক্টমের কোন প্রকার দোষ জন্মে না ; পুরুষত্ব স্বাভাবিক থাকে । আক্রাস্ত পেশীবৃন্দ ক্রমে শুষ্ক হইয়া আইসে । চিকিৎসা |—পুষ্টিকর খাদ্য, বল কাবক ঔষধ, মেরুদণ্ডের উপর খ্রিষ্টার, তড়িৎ প্রয়োগ ইত্যাদি । লণ্ডি স্প্যারালিসিস্ । ইহতে অবশত। শরীরের নিম্ন শাখা হইতে আবস্ত হইয়া ক্রমে উদ্ধে উখিত হয় ; অবশেষে মেডাল অব লঙ্গেটা ইহাতে অভিভূত ও জড়িত হওয়াতে রোগীর প্রাণ নষ্ট ट्ध्न ! কিসে যে এই ব্যায়ারামের উৎপত্তি হয় তাহা এখনও স্থিব করিয়া কেহই বলিতে পাবেন না । শৈত্য লাগান, মেরুদণ্ডের উপর আঘাত, শৰীরের অনিয়মিত ক্ষয়, উপদংশ প্রভৃতি ইহার কারণ বলিয়া কথিত হইয়! থাকে । বোগী প্রথমে পদদ্বয় হীনবল অনুভব করে। পরে সমস্ত নিম্নাঙ্গই উক্ত ভাবাপন্ন হয় এবং অবশ হইয়া পড়ে। অবশতা ক্রমে কটিদেশ হইতে বক্ষ ও পৃষ্ঠদেশে,পরে হস্তম্বয়, গ্রীবাদেশ এবং মুখমণ্ডল প্রভৃতিতে অগ্রসর হয় , তখন এই সমস্ত স্থানের সঞ্চালনাশক্তি থাকে না, পেশীসমূহৰ শিথিল হইয়া যায়, কিন্তু স্পর্শানুভবশক্তি কোন সময়েই নষ্ট বা নুনি হয় না। মুত্রশিয়ের শক্তির বিলোপ ঘটে, রোগীর মলত্যাগে কষ্ট উপস্থিত হয় ।